Connect with us

বাংলাদেশ

এমপি আনার হত্যা তদন্তে নতুন মোড়

Published

on

এমপি আনার হত্যা তদন্তে নতুন মোড়

সম্প্রতি কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে দুটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা ছুরি দুটি খুনে ব্যবহৃত হয়েছিল কিনা সেটা জানা যায়নি। ফরেনসিক প্রতিবেদন আসলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত ৫ জুন, বুধবার এমন সব তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
কলকাতার চিনার পার্কের কাছে ব্লু মুন নামক হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেই হোটেলের সুয়ারেজ পাইপ ভেঙে বেশ কিছু ব্যবহৃত বস্তু সংগ্রহ করা হয়েছে।
সেগুলোও ফরেনসিককে পাঠানো হয়। এই হোটেলের মালিক এবং অ্যাক্সিস মলের রিলায়েন্স ডিজিটাল শোরুমের ম্যানেজার ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটা বুলেট উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে মুম্বাই থেকে ডেকে আনা কসাই জিহাদকে তোলা হয়েছে কলকাতার বারাসাত আদালতে।
এমপি আনার হত্যার ঘটনায় আরও দুজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তাদের একজন তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী, অন্যজন মো. জামাল হোসেন। দুজনেরই বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের বাড়িও একই এলাকায়।
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, তাজ ও জামালের সঙ্গে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত মো. আক্তারুজ্জামানের যোগাযোগ ছিল। খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন যে ১০ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিবি, সেখানে তাদের নাম রয়েছে। ডিবির আবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে ওই দুজনসহ ১০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ।
যে ১০ জনের ব্যাংক হিসাব খোঁজা হবে, তাদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন পাঁচজন।
তারা হলেন মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী ও মো. জামাল হোসেন।
এর মধ্যে তাজ ও জামাল কীভাবে আনার খুনের ঘটনায় জড়িত, সেটি আদালতে দেওয়া ডিবির আবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে আবেদনে বলা হয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্তে ওই দুজনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিবি সূত্র বলছে, সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। দুজনের বর্তমান অবস্থান এখন কোথায়, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুজনের বাড়ি খুলনার ফুলতলায়। খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending