বাংলাদেশ
তালিকা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লুটেরাদের
Published
4 weeks agoon
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে গ্রেফতার, মামলা দেয়ার উদ্যোগ।
এবার একই অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেতাদের তালিকা তৈরি করবে অন্তর্বতীকালীন নতুন সরকার। যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশে নানা প্রকল্পে অর্থ লুটপাট করেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামাবে সংশ্লিস্ট বিভাগগুলোকে। এরই অংশ হিসাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ তো আছেই যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক লুট, বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র হাতিয়ে অর্থ লুট, তদবির বাণিজ্যসহ নানা খাতে যে সকল প্রবাসী বিগত সরকারের আমলে বিপুল অর্থ হাতিয়েছেন, তাদের নাম, পরিচয় ও অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
এরমধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে.এম. আব্দুল মোমেন, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক এর সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, এনআরবি গ্লোবাল (বর্তমানে এনআরবি ইসলামী ব্যাংক) এর চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, মধুমতি ব্যাংক-এর পরিচালক আবুল কাশেম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস মিনিষ্টার আশরাফুর আলম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী নেতা মুহাম্মদ ফজলুর রহমান (ফ্লোরিডায় বাস করেন), ড. শাহজাহান মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডাঃ মাসুদ হাসান, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমাদ চৌধুরী (তদবির বাণিজ্য করতেন) ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীসহ আরো অনেকের নাম ইতিমধ্যে তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এ ছাড়া বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেবার অভিযোগে অভিযুক্ত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক-এর চেয়ারম্যার আমজাদ হোসেন দেশের সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় এরই মধ্যে ধরা পড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আরো অনেকের নাম মামলার তালিকায় সংযুক্ত হতে পারে বলে একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা বিগত সরকারের শাসনামলে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সাধারণ প্রবাসীরা তাদের ‘আঙ্গুর ফুলে কলা গাছ’ হওয়ার কথা সবসময় বলে আসছেন।