Connect with us

বাংলাদেশ

প্রবাসীদের বিভ্রান্তিতে না পড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের

Published

on

প্রবাসীদের বিভ্রান্তিতে না পড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের

দেশের আর্থিক নিয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন থেকে গণমাধ্যমকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান। তার মতে, প্রিন্ট কিংবা ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যম যদি সত্য খবর প্রকাশ করে তাহলে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি দেশ্ও লাভবান হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইর্য়কের লাগুরডিয়া ম্যারিয়েট হোটেলে বাংলাদেশের চারটি শীর্ষ ব্যাংকের ( অগ্রণী, ব্র্যাক, ডাচ্ বাংলা ও সিটি ব্যাংক পিএলসি ) উদ্যোগে অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম নিয়ে প্রবাসী ও বিনিয়োগকারীদের সাথে মত-বিনিময় সভায় যোগ দিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যতে এমন তথ্য জানান তিনি।
এ সময় ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমা্ন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ আর যুক্তরাষ্ট্রে এমডিদের সফর নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম তা একেবারে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মিথ্যা। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধে প্রবেশাধিকার নেই। এমনকি সাধারণ মানুষও সেখানে ঢুকতে পারে না। এখানকার ( যুক্তরাষ্ট্র) ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে কেউ ঢুকতে পারি আমরা ? এ সত্বেও এতোদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ অবারিত রাখা হয়েছিল। আমরা সেটিতে একটি নির্দিষ্ট সীমায় এনেছি, তবে বন্ধ করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তিন জন নির্দিষ্ট মুখপাত্র ঠিক করে দেয়া আছে, সাংবাদিকরা চাইলে কাজের সময় যে কোন তথ্য নেবার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ওয়েবসাইট তা বেশ সমৃদ্ধশালী তথ্য উপাত্তের জন্য। আমরা বৈদেশিক মুদ্রার বেচা কেনা ( বায়িং-সেলিং) হার পর্যন্ত সেখানে দিচ্ছি। রিজার্ভ কতো আছে সেটি জানা যাচ্ছে। এরপর বলা হয়েছে, প্রতি মাসে একজন ডেপুটি গভর্নর অন্তত সময় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সে সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ দিলে গণমাধ্যম সেটি ছাপানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
ডেপুটি গভর্নর এ সময় প্রবাসী ও বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের ভেতরে যেসব ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু আছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে সেখানে অনিয়মের বিপরীতে ল-এনফোর্সমেন্ট ব্যবহার করতে পারতো। কিন্তু এতোদিন অফশোর ব্যাংকিংয়ে তা করা সম্ভব হয়নি। আর এ কারনে অফশোর ব্যাংকিং আইন চালু করেছে সরকার। এতে করে বিদেশের মাটিতে বসে কোন প্রবাসী অর্থ লগ্নী করলে যেমন নিরাপদ অনুভব করবেন ঠিক তেমনি অফশোর ব্যাংকিং ডিপোজিট স্কিমে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করলে সে কাভারেজ দেবে সরকার। এ নিয়ে নিরাপতহীনতা, আস্থাহীনতার কিছু নেই বলে ও জানান তিনি। তিনি বলেন, অফশোর ব্যাংকিং ফ্ক্সিড ডিপোজিট স্কিমে এরই মধ্যে প্রায় ৩৪৫ মিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা জমা পড়েছ।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending