Connect with us

বাংলাদেশ

যেখানে যত সম্পত্তি বেনজিরের

Published

on

বেনজীর আহমেদ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) , তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, তিন মেয়ের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির ৮৩টি দলিলে ১০৯ একর ৬২ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রেখেছেন স্ত্রী ও স্ত্রী নামে কেনা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। এর মোট পরিমাণ ৭৫ একর ৪২ দশমিক ৬১ শতাংশ। এসব সম্পদের অধিকাংশই কিনেছেন গোপালগঞ্জে। এছাড়া ঢাকার বাড্ডা ও কক্সবাজারেও তার সম্পত্তি রয়েছে।

আদালত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুয়ায়ী তার ৮৩টি স্থাবর সম্পদ ক্রোক (Attach) এবং অস্থাবর সম্পদ ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ (Freeze) করার নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেছেন। অনুসন্ধান বা মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে বলে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ২৩ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেনের আদালতে এ নিবেদন করেন।

দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিবেদন করেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিশান মির্জা ও মেয়েদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

পিপি আরও উল্লেখ করেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিম্ন তফসিলে বর্ণিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদসমূহ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এছাড়া, অভিযুক্তরা বাংলাদেশে তাদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তর করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন অনুসন্ধান বা মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে।

পিপি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত-২০১৯) এর বিধি ১৮ এর বিধান মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামীয় অপরাধ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (Attach) করণ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ (Freeze) করণের আবেদন করেন।

বেনজীরের নামে সম্পত্তি রয়েছে ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজার এলাকায়। তার নামে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ একর ১ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

বেনজিরের স্ত্রী জিশান মির্জার নিজস্ব নামে সম্পত্তি রয়েছে ৭ একর ১৬ শতাংশ। যার বাজারমূল্য ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এছাড়া তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে অর্জিত সম্পত্তি।

ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর, জারা জেরিন বিনতে বেনজীরের যৌথ নামে সম্পত্তি রয়েছে ৩৫ শতাংশ। যার বাজারমূল্য ৩০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তিন কন্যা ও দুই নাতি আর রুহ মিজান স্নেহা, পিতা মিজানুর রহমান। মাশরুর নুতক মিজান নাফিজ, পিতা মিজানুর রহমান। তাদের নামে সম্পত্তি আছে, ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯ টাকা।

বেনজিরের নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১১টি। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে ৩টি, রমনা কর্পোরেট শাখায় ৩০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র, এছাড়া, ড্রাগন সিকিউরিটি লিমিটেডে ১টি, আইএফআইসি ব্যাংকে ১টি, সিভি ব্যাংকে ৪টি, প্রাইম ব্যাংকে ১টি, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে ১টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে রয়েছে ৮টি অ্যাকাউন্ট। সেগুলো হলো- আইএফআইসি ব্যাংকে ২টি, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে ১টি, দি প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১টি, সাউথইস্ট ব্যাংকে ১টি, সাউথইস্ট ব্যাংক কেপিট্যাল সার্ভিসে একটি, এবি ব্যাংকে ১টি, ইবিএলে ১টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

বড় মেয়ের ফারহান রাইশা বিনতে বেনজিরের নামে আছে দুটি অ্যাকাউন্ট। একটি প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখায়, আরেকটি কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ এর কর্পোরেট শাখায়।

মেঝো মেয়ের নামে আছে ৪টি অ্যাকাউন্ট। সিটি ব্যাংক, ইবিএল সিকিউরিটি লিমিটেডে, ডাইনাস্টি সিকিউরিটি লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১টি করে অ্যাকাউন্ট

এছাড়া নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে খুলেছেন বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট। স্টিথ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড গুলশান শাখায় ১টি, সাভানা এগ্রো লিমিটেড, সাভানা ফার্ম প্রোডাক্ট, সাভানা পার্ক রিসোর্ট অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব, বাংলা ট্টি ম্যানুফেকচারের নামে একটা করে অ্যাকাউন্ট

এছাড়া স্ত্রীর দুই ভাইসহ একটি অ্যাকাউন্ট, একটি শিশির বিন্দু নামেও সিটি ব্যাংকে একটা অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending