Connect with us

বাংলাদেশ

সেন্টমার্টিনের আকাশে যুদ্ধবিমান, বাংলাদেশি নৌযানে গুলিবর্ষণ

Published

on

সেন্টমার্টিনের আকাশে যুদ্ধবিমান, বাংলাদেশি নৌযানে গুলিবর্ষণ

বুধবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত থেমে থেকে মিয়ানমার সীমান্তে ভারী গোলা ও মর্টার শেলের শব্দে সেন্টমার্টিন কেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। দুপক্ষের মর্টার শেল ও ভারী গোলায় এই বিকট শব্দ। টেকনাফ সীমান্তেও গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের আকাশসীমায় উড়ছে যুদ্ধবিমান। এতে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের বাসিন্দারা।
শুধু তা-ই নয়, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর কারণে সাত দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওষুধ, খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দা। তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের বিকল্প রুট খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মিয়ানমারে অভ্যন্তরে চলমান যুদ্ধে প্রায়ই সীমান্তে বিকট শব্দ পাওয়া যায়। এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে গুলিবর্ষণের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ায় সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এটি সমাধানে আমরা টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের বিকল্প খুঁজছি। বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে দেখছি।’সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। সে দেশের মংডুর পাশাপাশি বুথেডংয়েও যুদ্ধ চলমান রয়েছে। এই দুই রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে জান্তা সরকার। যে কারণে দুপক্ষের মধ্য মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে সেন্টমার্টিন। কয়েকবার মিয়ানমারের আকাশপথে হেলিকপ্টার নিয়ে হামলার দৃশ্য দেখা গেছে। এতে বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলরত নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। এতে আতঙ্কে আছেন দ্বীপের মানুষ।
বিশেষ করে দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব জোরালো হচ্ছে। অনেকের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ৩ শতাধিক মানুষ সাত দিন ধরে টেকনাফে আটকা পড়েছে।’
বুধবার দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যে টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়ার পাশে নাফ নদে সে দেশের জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ দেখতে পান স্থানীয় ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ইউপি সদস্য এনামুল হক এনাম বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় দুপুর থেকে ওপারের গোলার শব্দ পাচ্ছি আমরা। এ ছাড়া ওপারের সুদাপাড়া ও ডেইলপাড়ার নাফ নদে দুপুর থেকে একটি যুদ্ধজাহাজ দেখা যাচ্ছে। এতে সীমান্ত এলাকার ৫ হাজার মানুষ ভয়ে আছে। গ্রামে জরুরি কোনও কাজ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তের কাছে চিড়িচাষিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে।’
প্রতিবাদলিপি পাঠাবে বিজিবি
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে গুলিবর্ষণের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সতর্ক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সার্ভিস ট্রলারকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending