Connect with us

বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্য অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাবে

Published

on

যুক্তরাজ্য অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাবে

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকায় বাংলাদেশিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বড় রকমের দুঃসংবাদ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে যাদের আবেদন ব্যর্থ হয়েছে, সেসব বাংলাদেশিকে ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ (দ্রুত) পদ্ধতিতে ফেরত পাঠাবে দেশটি। আর এ সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি।

গত এক বছরে শুধু স্থায়ীভাবে থাকার প্রয়াসে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ের’ আবেদন জমা দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয় প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও ফেরত পাঠানোর কাজ সহজতর হবে।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া আশ্রয় প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত যুক্তরাজ্যে প্রবেশের জন্য এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে।

টেলিগ্রাফ বলছে, চলতি সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্রবিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়। সেখানে উভয় দেশ তাদের মধ্যকার অংশীদারত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা জানায়।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন, অবৈধভাবে এখানে আসা বা থাকা বন্ধ করার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণের কাজ ত্বরান্বিত করা আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের একটি মূল্যবান অংশীদার এবং আমরা তাদের সঙ্গে এই ইস্যুর পাশাপাশি অন্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি। এ ধরনের চুক্তিগুলো অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে বলে আমরা এরই মধ্যে স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে পেয়েছি। বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধান প্রয়োজন এবং আমি সবার জন্য ন্যায্য ব্যবস্থা তৈরি করতে বাংলাদেশ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending