Connect with us

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে আরও রোহিঙ্গা প্রবেশের শঙ্কা

Published

on

যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্প্রতি প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা নাফ নদীর তীরে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অপেক্ষা করছেন। শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল এ কথা বলেন। খবর এএফপির।

তিনি বলেন, অনেক রোহিঙ্গা হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেকের বাড়িঘর, সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ১৭ মে থেকে পালাতে শুরু করেন। থ্রোসেল বলেন, সম্প্রতি বুথিডং ও মৌডং শহরে আরাকান আর্মি (এএ) ও সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে ১০ হাজার নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

রাখাইন সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়ার মারাত্মক ও স্পষ্ট ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে সতর্ক করে এলিজাবেথ থ্রোসেল বলেন, মংডুতে লড়াই চলছে। সেখানে সামরিক বাহিনীর একাধিক চৌকি আছে। এছাড়া এলাকাটিতে রোহিঙ্গাদের একটা বড় জনগোষ্ঠী বাস করে। তিনি বলেন, এমন আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকরা আরও একবার হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটের শিকার হচ্ছেন। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা আবারও বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।

এলিজাবেথ থ্রোসেল বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এর আগের সহিংসতার সময় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তিনি জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ‘যারা সুরক্ষা খুঁজছেন, তাদের তা দেওয়ার’ অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সতর্কতা: মিয়ানমারের সংঘাত পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি দেশ। এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো বলছে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার মুখে হাজারো বেসামরিক নাগরিক বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবদমান সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।

Advertisement

Trending