Connect with us

বাংলাদেশ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদে সরব মোমেন

Published

on

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদে সরব মোমেন

অল্প কিছু’ দুর্নীতিপরায়ণ আমলার কারণে পুরো আমলাতন্ত্র ‘বদনামের ভাগিদার’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অধিকতর কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়ে।”
বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দায়িত্বে থাকা মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ বছর ধরে যেভাবে উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি ধরে রেখেছেন, তা ‘বিশ্বের বিস্ময়’। কিন্তু এখন এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার ‘প্রধান প্রতিবন্ধক’ হল দুর্নীতি।

“এই দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ হয় না। তার ফলে খরচ বাড়ে, জনগণের হয়রানি বাড়ে। আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন এবং তাতে জনগণের হয়রানি বাড়ছে।”
প্রধানমন্ত্রী যে দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, “এই বাজেটে দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার বন্ধের নির্দেশনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে। সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি।
“কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।”
এমন এক সময়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে কথা বললেন, যখন একজন সাবেক আইজিপির অবৈধ সম্পদ দিয়ে তদন্ত করছে দুদক। একজন সাবেক ডিএমপি কমিশনারের বিপুল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে আসছে। একজন এনবিআর কর্মকর্তার ছেলের ১৫ লাখ টাকায় কোরবানির ছাগল কেনার খবর নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় হচ্ছে।
মোমেন বলেন, “জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাঠে ময়দানে সাধারণ নাগরিকদের সাথে আমাদের সম্পর্ক। সাধারণ নাগরিক এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছেন। তাই তারা সবাই জাতির আস্থা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন।”
দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষম লোক বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সিলেটের সংসদ সদস্য মোমেন।
তিনি বলেন, “কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত প্রাইভেট সেক্টর করে থাকে। সেজন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এবারের বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য ১,৩৭,০০০ কোটি টাকা সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
“ইতোমধ্যে ব্যাংকের বেহাল অবস্থা। বাজেটে এর প্রতিকারের কথা থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হত। বরং কালো টাকাকে শতকরা ১৫% কর দিয়ে সাদা করার ঘোষণায় যারা সৎ করদাতা, তারা হতাশ হয়েছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পরিমার্জন প্রয়োজন বোধ করি।”
মোমেন বলেন, “দেশের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অর্জনে, সাদাকে সাদা, কালোকে কালো না বললে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অবিচার করা হয়। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যা যা করা প্রয়োজন তা করবেন বলে বিশ্বাস করি।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending