Connect with us

বাংলাদেশ

‘সরকারবিরোধী হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইউনূস’

Published

on

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারবিরোধী হিসেবে মাঠে নেমেছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতে যিনি রাজনৈতিক দল খুলে ওয়ান–ইলেভেনে সাড়া পাননি, যাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলমান, যিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে বিরোধিতা করেছেন, তিনি আবার সক্রিয়। আগে গোপনে করেছেন। এবার তিনিও এসেছেন।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বাইরে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। আমাদের বিবেক আমাদের চালায়। কোনো বিদেশি শক্তি নয়।’

ড. ইউনূসকে ‘নির্লজ্জ’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (ইউনূস) ভারতকে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনাকে থামাতে। শেখ হাসিনা আক্রান্ত, আমক্রণকারী নন। তাঁকে থামাবে কেন? আক্রমণকারীদের থামান। যাদের সঙ্গে আপনি আছেন। বিবৃতি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপের জন্য বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি সাক্ষাৎকারে নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে থামাতে ভারতের প্রতি অনুরোধ জানানোর বক্তব্যকে আপত্তিকর বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই দেশ স্বাধীন দেশ। স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো! কী বোঝাতে তিনি ভারতকে বলেছেন, খোলাসা করে ইউনূস সাহেব বলবেন কি?’

কোটা আন্দোলন, অগ্নিসন্ত্রাস, সাম্প্রতিক সহিংসতার সঙ্গে এই বিবৃতির সংযোগ আছে কি না, তা ভেবে দেখা দরকার বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস দেশের সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা লালন করেন না। তিনি আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা তাঁর সঙ্গে কেমন করে থাকব? জাতির কোনো সংকট, সম্ভাবনায় তাঁর ভূমিকা দেশের জনগণ দেখে না।’

সেনাবাহিনী কোথাও গুলি করেনি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কারফিউ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিলেন, সেনাবাহিনী নামল। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সেনাবাহিনী কোথাও একটা গুলিও ছোড়েনি। অথচ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, আমরা যেন হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলেছি। আজকে আমাদের মেরে ফেলা…গতকাল তালিকায় দেখেছি আমাদের ১২ জন কর্মী…।’

এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নিহত এক নেতার নাম উল্লেখ করে ওবায়দুর কাদের বলেন, এগুলো করেছে আক্রমণকারীরা। আজকে অনেকে অনেক কথা বলেন। ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে ১৫ জনকে। এসবের জন্য কারা দায়ী?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবেকের টানে হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মতো মায়াকান্না করতে নয়, বিবেক ও হৃদয়ের টানে শেখ হাসিনা হাসপাতালে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য যা করতেন, তাঁর কন্যাও সেই সহানুভূতি নিয়ে যাচ্ছেন।’

মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু না থাকায় রাজধানীতে ভয়াবহ যানজট হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে ঢাকা সিটিতে অসহনীয় যানজট। কেন এই যানজট? মেট্রোরেল নেই। যে ধ্বংসলীলা মেট্রোরেলের ১০ নম্বর স্টেশন, কাজীপাড়া স্টেশনে; আজকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা আগুনে কয়লা হয়ে গেছে। উত্তরা থেকে মানুষ আসা–যাওয়া করতে পারছে না। সময়ও বাড়ছে, পরিবহন ব্যয়ও বাড়ছে। এই কষ্ট বহুকালের। শেখ হাসিনাই জনগণের কষ্ট লাঘবে এসব প্রকল্প নিয়েছেন। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের ৩৪টি এসকেলেটর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেমনে চালু করা হবে? এগুলো তো মানুষের জন্য করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, জনগণ উপলব্ধি করছেন মেট্রোরেল, এলিভেটেড বন্ধ থাকলে তাঁরা কত কষ্টে থাকেন। এই কষ্টটা সরকার দেয়নি। এটা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ক্ষমতার জন্য সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে তারা।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending