এ বছরই শুরু হচ্ছে ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট। তবে এতে করে বন্ধ হবে ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুটটি। এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি, ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুটটি এখনো লোকসানের মুখে। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনলাইনে আগামী এপ্রিলের পর আর কোনো টিকিটের বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। বরং নতুন করে ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু নিয়ে চলছে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের তোড়জোড়। বহুল প্রতীক্ষিত এ ফ্লাইট চালু হলে যাত্রীদের অনেক দিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। বিষয়টি নিয়ে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) সঙ্গে শিগগিরিই চলতি মাসেই বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন ক্যাটাগরি টু হওয়ায় নিউইয়র্কে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না। এর আগে বেশ কয়েকবার তদন্ত করতে এসেও ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটি (এফএএ) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবলয় সংক্রান্ত তথ্যগুলো সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনকে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত করার অনুমোদন দেয়নি।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) সাথে বারবার যোগাযোগ করেছে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন। তবে নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়টি নির্ভর করছে সিভিল অ্যাভিয়েশনের বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তার বলয় কতটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হয়েছে তার ওপর। সিভিল অ্যাভিয়েশন এফএএর বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ও শর্তাদি পূরণ করার পরও কাক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়নি। সর্বশেষ এর মধ্যে আরও দুটি অডিট শেষ করার ইস্যুতে ঝুলে আছে এ রুটের ভাগ্য। তবে এত
কিছুর পরও বিমান আশাবাদী এ বছরের মধ্যেই তা সম্ভব হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান নিবার্হী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাফিকুর রহমান বলেন, আমরা প্রস্তুত। সিভিল অ্যাভিয়েশন ক্যাটাগরি-১ হওয়ার অনুমোদন পেলেই আমরা ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করব। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের আধুনিক প্রজন্মের বোয়িং রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটটি অলাভজনক বলে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বোর্ড। তিনি বলেন, বিজনেস ক্লাস এখানে খালি থাকে শুধু ইকোনমি ক্লাসের যাত্রী দিয়ে রুট চালানো সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে, সরাসরি সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে দুটি ও হিথ্রো বিমানবন্দরে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিমান।
সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ারমার্শাল মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া বলেন, আমাদের টার্গেট ঢাকা- জেএফকে। কারণ এখানে আমাদের প্রচুর যাত্রী রয়েছে। আমি নিজেই কিছুদিন আগে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম। এ মাসের ১৪-১৫ তারিখে আমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে তাদের সঙ্গে অনলাইনে মিটিং করব।