Connect with us

বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টাকে মোদি যেসব কথা বললেন

Published

on

newyork-somoy

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে গঠনমূলক সম্পর্ক, সংখ্যালঘু ইস্যু, সীমান্ত নিরাপত্তা, হাসিনার প্রত্যাপর্ণসহ বেশকিছু বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। মোদি-ইউনূস বৈঠক শেষে সাংবাদিকদদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। এ সময় বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রগতিশীল, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রফেসর ইউনূসকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক তৈরির আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। এছাড়া (দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে) এমন কথাবার্তা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।’
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে আজ

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ড. ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক এটি। তাই দুদেশের সম্পর্কোন্নয়নের বৈঠকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
বৈঠকের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদদের জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সময় তিনি হিন্দুসহ বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান। এসবের পাশাপাশি সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, এছাড়াও দুই নেতার মধ্যে সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় সীমান্তে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের চিন্তার বিষয়টি জানান।
শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছে। তবে হাসিনার প্রত্যার্পণের ব্যাপারে এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি বলা তার জন্য ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন এই ভারতীয় কূটনীতিক।
নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং ফোরামের নেতৃত্বে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেণ। তারা উভয়েই বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতিকে এগিয়ে নিতে পরামর্শ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূসকে জানান, দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা যথাযথভাবে পর্যালোচনা এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈঠক হতে পারে। মোদি দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থের সকল বিষয় গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করা হবে, যা তাদের দীর্ঘস্থায়ী এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থ রক্ষা করবে।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending