কমিউনিটি সংবাদ
জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটে জমে উঠেছে দেশী নাসার্রি
Published
4 months agoon
মিলছে লেবু, টেমেটো, লাউ, পুইঁ শাক, চিচিঙ্গা চারা
প্রকৃতির আড়ষ্ঠতা ভেঙ্গে জেগেছে প্রকৃতি। দখিনা বাতাসে ভাসছে পাখিদের গান। হৃদয়ের ব্যাকুলতা নিয়ে এসেছে উষ্ণতার দিন। বছর ভর ধরে যার অপেক্ষায় থাকে নিউইর্য়কবাসী। শীতের পর ধীরে ধীরে প্রকৃতিতে আসছে বসন্ত। ঝরে যাওয়া গাছের পাতায় আবার কুড়িঁ, ফুল ফুটে, পাখিরাও ঘরে ফিরেছে। ছোট দিনগুলো আবার দীর্ঘ হচ্ছে। কি যে আনন্দ চারিদিকে।
নিজের বাড়ি কিংবা ভাড়া বাড়ি, সব বাড়ির সামনে পেছনে ফুলের-ফলের-সবজির বাগানও কি কম মুগ্ধতা ছড়িয়েছে! এ সময় নিউইর্য়কের বেশিরভাগ বাসা–বাড়ির ব্যাক ইয়ার্ডে, ব্যালকনি-বারান্দায় গেলে মনে হয় যেন বাংলাদেশের কোন মফস্বল বাড়ির উঠান। আলস্যের আবরণ ছিড়েঁ মাটির সঙ্গে নিবিড় মায়ার সর্ম্পক ঝালিয়ে নিতে বাঙালীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাটির সঙ্গে মিতালি পেতে কি সুন্দর বাগান করেছে। অন্যরা তাদের বাগান দেখে মুগ্ধ হচ্ছে রীতিমতো।
আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে ক্ষুদ ব্যবসায়ীরা ফুল-ফল-শাক সবজীর চারার পসরা সাজিয়ে বসিয়েছেন জ্যাকসন হাইটসে। ব্যস্ততম রাস্তা ৭৩ স্ট্রীটে ফুটপাতের দু-পাশ ধরে হাটঁলে দেখা মিলবে সারি সারি নাসার্রি। দেশী লেবু, টেমেটো, লাউ, পুইঁ শাক, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, পেপে, নাগা মরিচ, দেশীয় মরিচ, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, শশাসহ সব বিভিন্ন শাক-সবজীর গাছ চারা তো মিলছে-ই, আবার চাইলে ক্রেতারা গাছ কিনতে পারছেন চাহিদা মতো।
কেবল তাই নয়, দেশীয় শাক-সবজীর পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে মাল্টা, কমলালেবু, স্ট্রবেরিসহ নানান জাতের ফল, আছে বাহারি রকমের ফুলের গাছসহ চারা। আছে তুলসী, মিন্টসহ আরো নাম না জানা শত ভৈষজ গাছ, চারা ও বীজ।
বিক্রেতারা জানালেন, সামারকে কেন্দ্র করে বাগান বিলাসীদের নানান জাতের চারা –গাছ কেনা-কাটার হিড়িক পড়েছে। ১ ডলার থেকে শুরু করে ১০ ডলারের মধ্যে গাছের চাহিদা বেশি। যেগুলো আসছে আমেরিকার ফ্লোরিডাসহ একাধিক অঞ্চল থেকে। চারার মান ও গুণাগুন দেখে বুঝে কিনছেন বেশির বাঙালিরা।
সামনে দুই দিন শনি ও রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ তাই এ সময়ে বাগানে বীজ বপন করতে চান জ্যামাইকা থেকে জ্যাকসন হাইটসে আসা আবদুল্লাহ । জানালেন, আমেরিকায় বাঙালিরা নিজের বাড়িতে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাটির সঙ্গে মিতালি পেতে কি সুন্দর বাগান করে। অন্যরা তাদের বাগান পরিদর্শন করতে এসে মুগ্ধ হয়।
কেবল জ্যাকসন হাইটস নয়, পুরো নিউর্ইয়কের অলিতে গলিতে সুপারশপ, গ্রোসারিগুলোর সামনে এখন দেখা মিলছে এমন শত শত গাছের চারা-বীজ । ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর সামারকে ঘিরে তাদের যে নাসার্রি কেন্দ্রীক ব্যবসা তার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে ।