সাউথ জ্যামাইকায় বাংলাদেশী পিএইচডির ছাত্র মো. মাজিদুল হক ভুইয়াঁর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২১ মে ভোরে জ্যামাইকায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক, হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা – এ নিয়ে নানা রহস্য দেখা দিয়েছে। কারণ ঘটনার দিন তার স্ত্রী ও সন্তান কেউ বাসায় ছিলেন না।
ঘটনার আগে এক ব্য্যক্তি মাজিদুলের বাসায় প্রবেশ করেছিলেন এবং ঘন্টা খানেক ছিলেন। এরপর বাইরে বেরিয়ে যান। কে এই ব্যক্তি তার সাথে কি পরিচয় মাজিদুলের সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ । পুলিশের তদন্ত শেষ হলে এরপর রিপোর্ট জানা যাবে।
মাজেদুল হকের বয়স ৩১ বছর। তিনি বাংলাদেশ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরপর এখানে মিজোরির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন স্ত্রী ও তার ছয় বছরের সন্তানকে। তারা গেল ৩১ মার্চ ছুটিতে নিউইয়র্কে আসেন বলে জানান মাজেদুলের স্ত্রী কামরুন নাহার রাখী।
কামরুন নাহার রাখী জানান , তারা গেল ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। সামার ছুটি শেষ হলে নিউইয়র্ক থেকে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে যাবার কথা ছিল। বলেন , পারিবারিক কলহ একদম ছিল না। যেদিন ঘটনা ঘটে তার আগ মুহূর্তেও ভিডিও কলে কথা হয়েছে। সেদিন সইন সাইডে ১০ বছরের পুরানো বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন রাখী । এখনো সেই বাসায় আছেন তিনি । কেননা , মৃত্যুর রহস্য উতঘাটনে কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী। রাখী জানান , স্বামী মাজিদুলের মৃত্যূর চার দিন পর লাশ পান তিনি। ব্রুকলিনে ইকনা সেন্টার এরই মধ্যে লাশের জানাযাসহ দাফনের সব ব্যবস্থা করেছে। লাশ নিউজার্সিতে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাজিদুল সুস্থ ছিলেন উল্লেখ করে তার স্ত্রী জানান , প্রেশার মাঝে মাঝে একটু বেশি থাকতো এছাড়া আর কোন সমস্যা ছিল না। এদিকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাজেদুলের মুঠোফোনে যেসব ফোন নম্বর থেকে কথা বলা হয়েছে সেগুলো যাচাইবাছাই শুরু করেছে পুলিশ। বাসার সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা যায় , ঘটনার একদিন আগে একজন ব বাসায় প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে ছিলেন ঘন্টা খানেকের মতো। এদিকে মাজেদুলের মৃত্যুর পর তার বোন কানাডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছে বলে জানা গেছে।