Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

পিপল আপের ডেমোক্র্যাট প্রাইমারি ইলেকশন ক্যাম্পেইনে বিপুল সাড়া

Published

on

পিপল আপের ডেমোক্র্যাট প্রাইমারি ইলেকশন ক্যাম্পেইনে বিপুল সাড়া

অভিবাসীদের জন্য নতুন দাবি তুললেন স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ

শিক্ষা-স্বাস্থ্য আবাসন কিংবা কর্মসংস্থান—সবক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি, সাউথ এশিয়ান তথা সকল কমিউনিটির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস পিপল আপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ। তার মতে, মার্কিন সরকার দেশে প্রবেশাধিকার সহজীকরণ করলেও বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। গত ১৪ জুন শুক্রবার, নিউইয়র্কে বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিতে তাদের ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে জ্যাকসন হাইটস ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ডেমোক্রেট ইলেকশন সমাবেশ। পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস পিপল আপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদের আহ্বানে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেসিকা গঞ্জালেজ রোহাস, অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা, কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃ্ষ্ণানসহ বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেট প্রার্থী। এছাড়া, এই আয়োজনে স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদের সমর্থনে নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেমোক্রেট সমর্থকরা উপস্থিত হন। উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির সকল সাংবাদিক, সম্পাদক ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিকে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান ড. স্যার আবু জাফর মাহমুদ। সমাবেশে, আমেরিকার স্বার্থ সুরক্ষার সর্বোচ্চ অবদানের ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রাটদের পক্ষে গণজাগরণের কথা তুলে ধরেন তিনি। তুলে ধরেন পিপল আপের অভিযানের নানা দিকও। বলেন, আমেরিকায় যত মানুষ বসবাস করেন তারা নিবন্ধিত হোক বা অনিবন্ধিত, সবার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। তাদের সবাইকে হেলথ কেয়ার সার্ভিস দিতে হবে। তিনি বলেন, যাদের আমেরিকায় প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাদের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আবু জাফর বলেন, আমেরিকায় যারা বসবাস করেন, তারা প্রত্যেকে পরিশ্রম করে এ দেশ নির্মাণ করেন। যারা আন-ডকুমেন্টেড, তাদের কম পারিশ্রমিক দেয়া হয়। এই সুযোগ সুবিধা নিয়ে আমেরিকা তাদের ব্যবহার করছে। এদেরকে বৈধতা দিতে হবে, এদের নাগরিক হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাদের কাগজপত্র দিতে হবে স্থায়ী বসবাসের জন্য।
এ সময়, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেসিকা গঞ্জালেজ রোহাস বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশি ভাই-বোনদের জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষত নিউইয়র্কে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর ভাই-বোনদের জন্য আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি এর আগেও জ্যাকসন হাইটসের এই ডাইভারসিটি প্লাজায় এসেছি আমাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে, আশা নিয়ে। এটি সত্যি সৌভাগ্যের বিষয় যে, ড. আবু জাফর মাহমুদের সমর্থন ছাড়া এখানে এতো জমায়েত সম্ভব হতো না।
নিউইয়র্ক অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা বলেন, কুইন্স অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, উড সাইড, এলমহার্স্টে বসবাসরত মানুষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমি সৌভাগ্যবান যে প্রাইমারি ইলেকশনের এই দৌড়ে আমি নেই। কিন্তু আমরা জানি, সামনের দিনগুলো অমসৃণ। আমাদের কষ্ট করতে হবে আরো। আমরা আজ এখানে ডেমোক্রেটদের জয়ী করার প্রত্যয়ে একত্র হয়েছি। তারপরও বলবো সঠিক মানুষকে নিবার্চনে জয়ী করার জন্যও আমরা একত্র হয়েছি।
নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃ্ষ্ণান পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের এই যাত্রায় নিউইয়র্ক সিটির সকল অফিসগুলোতে আরো সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।
১৫ জুন ডেমোক্রেট প্রাইমারি ইলেকশনের অগ্রিম ভোট শুরু হয়েছে। চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোট ২৫ জুন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে কংগ্রেস মেম্বার আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ এর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। জরুরি দাপ্তরিক ব্যস্ততায় তিনি আসতে না পারলেও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার নির্বাচনী প্রচারণা দলের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। অনুষ্ঠান স্থলে ছিল নির্বাচনী স্টল। সেখানে তারা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ (এওসি)’র পক্ষে নির্বাচনী প্রচারপত্র ও অন্যান্য উপহার সামগ্রি বিতরণ করেন।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending