৫০০ ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখলেই করা যাবে লেনদেন, পাওয়া যাবে মুনাফাও
প্রবাসে বসে দেশের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইছেন কিংবা সঞ্চয় করার ইচ্ছে আছে! আবার এর বিপরীতে মুনাফাও আশা করছেন! এমন অনাবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম ব্যাংক ইষ্টার্ণ ব্যাংক পিএলসি দিচ্ছে দারুণ সুযোগ। যা পাবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও।
বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট ও চলতি অ্যাকাউন্ট খুলে প্রয়োজনীয় লেনদেন সারতে পারবেন। আর এতে অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন পড়বে মাত্র ৫০০ ডলার / ইউরো/ পাউন্ড । ইবিএল অফশোর ব্যাংকিং-ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নামে এ সেবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রবাসী, অনাবাসী কিংবা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করলে দিচ্ছি ২ শতাংশ সুদ ও। কেবল তাই নয়, কোন অনাবাসী যদি অফশোর ব্যাংকিং-ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্থায়ী আমানত হিসাবে ১, ৩, ৬ বা ১২ মাসের জন্য অর্থ জমা রাখে তাহলে এর বিপরীতে ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মুনাফা দেবে ইবিএল। অর্থ প্রেরণে থাকবেনা কোন ঝক্কি-ঝামেলা, নিরাপদে যাতে লেনদেন করা যায় সে নিশ্চয়তাও দিচ্ছে এ ব্যাংক। দেশের বাইরে থেকে অর্থ ব্যক্তি অ্যাকাউন্টে জমা করলে বিনিময়ে গুণতে হবে না কোনো কর । একই সাথে এ অর্থ উপার্জনের উতস নিয়েও প্রশ্ন করার মতো ভোগান্তি থাকছে না।
অনাবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় এমন অফার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংক নির্বাহীদের শীর্ষ সংগঠন এবিবির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী রেজা ইফতেখার জানান , মূলত দেশীয় ব্যাংকগুলোর সাথে প্রবাসীদের আস্থার সর্ম্পক বাড়াতে এমন উদ্যােগ। এতে করে ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার , দেশের অর্থনীতির ভীত-ও মজবুত হবে। তিনি বলেন , প্রবাসীরা এ সেবা গ্রহণ করলে তাদের জমাকৃত অর্থ দেশের অভ্যন্তরীণ যে অ্যাকাউন্ট আছে সেখানে স্থানান্তর করতে পারবেন অনায়াসে । একই সাথে কোন গ্রাহক যদি ৫ হাজার বা তার বেশী অর্থ জমা রাখে তাহলে ব্যাংক প্রায়োরিটিমূলক ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করবে সেই গ্রাহক ও তার পরিবার।
এদিকে, ইষ্টার্ণ ব্যাংকের এমন অফারকে প্রবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় বলছেন নিউইয়র্কে বসবাসরত বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্ক সময় প্রতিবেদক একজন আবাসন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী রাহেল আহমদের কাছে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন , এতোদিন দেশে কেবল প্রবাসী আয় হিসাবে টাকা পাঠাতাম বিপরীতে সরকার আর ব্যাংকগুলো যে নগদ প্রণোদনা দিতো তা খুব একটা আকষর্ণীয় ছিল না। এখন এ সুযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংকেরও আমানত রাখা যাবে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো আমানতের ওপরে লভ্যাংশ দেয় গড়ে ২ থেকে ৫ শতাংশ হারে