জাতিসংঘের সামনে বাংলাদেশে হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ
বাংলাদেশের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র ও নিরপারাধ সাধারণ মানুষ হত্যা ও নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধে জাতিসংঘের সামনে বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিক সমাজ ইউএসএ এর পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৫ জুলাই এই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহিম হাওলাদার। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক নুর আমিন এবং উল্লিখিত সংগঠনের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন শিফন। এ সময় বক্তারা বেলন, দেশের সর্বত্র চলছে ব্যাপক গণহত্যা। স্বজনদের কান্নায় দেশের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। বর্তমান এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। একজন বক্তা বলেন যে, বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের কোন একটি বাসার ছাদে একটি শিশুকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। ঢাকার বাড্ডায় একজন মহিলা এই জুলুম নিপীড়ন অত্যাচার ও গণ হত্যার বিরুদ্ধে পুলিশের সাথে প্রতিবাদ করলে পুলিশ তার মেয়ে এবং মেয়ের জামাইকে নিয়ে যায়। তাদের কোন সংবাদ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় হেলিকপ্টার থেকে সংগ্রামী ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিলের উপর গুলি করে নির্বিচারে নিরস্ত্র ছাত্র-ছাত্রীদের হত্যা করা হয়েছে। এই সভায় বক্তারা আরোও বলেন, ঢাকার হাতির ঝিলে প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের লাশ পাওয়া গেছে। বক্তাগণ ইউএন’কে লক্ষ্য করে বলেন যে, আপনাদের দ্বায়িত্ব হবে পৃথিবীর দেশে দেশে সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমরা দেখলাম আপনাদের লোগো সম্পৃক্ত গাড়ি এবং হেলিকপ্টার এই গণহত্যায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। এই ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন এবং মর্মাহত। আমরা এই ঘটনার পরিপূর্ণ তদন্ত এবং বিচারের দাবি জানাচ্ছি। গাড়ি এবং হেলিকপ্টারের সহযোগিতায় গণহত্যা চালানো হয়েছে। এই ঘটনা বাংলাদেশি জনগণ ও ছাত্রসমাজ কোনো দিন ভুলে যাবে না।
বক্তারা বলেন যে, এই আন্দোলন যদি পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশ পরাজিত হবে। যারা আন্দোলন করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ছাত্র সমাজের কোটা বিরোধী আন্দোলন কে আমরা সমর্থন জানাই।