আগামী ২৬ মার্চ রোববার নিউইর্য়কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ডে প্যারেড। তবে তার আগেই এই প্রোগ্রামকে ঘিরে বিতর্কিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার অনুষ্ঠানটি কীভাবে সম্পন্ন করা যায় সে নিয়ে ভার্চুয়াল এক মিটিংয়ে বসে কমিটি । এ সময় কে হবেন গ্র্যান্ড মার্শাল সেটি নিয়ে শুরু হয় তুলকালাম। মিটিংয়ে এ নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করার পাশাপাশি কমিটির সদস্যরা পুরোনো বিষয় টেনে একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন। এদিকে এবারের বাংলাদেশ ডে প্যারেডের গ্র্যান্ড মার্শাল হবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ এবং বাংলাদেশ সোসাইটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এম আজিজ।
জানা যায়, জুম মিটিংয়ের এক পর্যায়ে পুরো আলোচনা কদর্য পর্যায়ে চলে যায়। উল্লেখ যে, এই বাংলাদেশ ডে প্যারেডটি দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম যে অনুষ্ঠান সেটি হয়েছিল ৯০ এর দশকে আনিসুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে ম্যানহাটনের ডাউন টাউনে। এবারের বাংলাদেশ ডে – প্যারেডটি করার উদ্যোগ নেন ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্ট ইউএসএ এর সভাপতি শাহ শহীদুল হক সাঈদ। গ্র্যান্ড মার্শাল কে হবেন এ নিয়ে কাঁদা ছোড়াঁছুড়ি থেকে বের হয়ে আসার জন্য অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডরের নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায় , এবারের বাংলাদেশ ডে প্যারেডে গ্র্যান্ড মার্শাল হিসাবে কেউ থাকছেন না। এই গ্র্যান্ড মার্শাল হবার বিষয়টি নিয়ে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির অবসান চান নিউইর্য়কবাসী। অনেকে মনে করেন যিনি প্রবাসে বাংলাদেশিদের জন প্রতিনিধিত্ব করেন এমন কাউকে এ উপাধি দেয়া সময়ের দাবি। তাহলে এই অনুষ্ঠানের সার্থকতা থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোয়িশনের প্রেসিডেন্ট এরশাদ সিদ্দিক জানান , আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর কোন গ্র্যান্ড মার্শাল রাখবো না । আমরা সবাই এক সাথে কাজ করবো। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক শাহ শহিদুল নিউইর্য়ক সময়কে জানান, আমি মনে করি প্রবাসীদের বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করেন যিনি আমাদের অ্যাম্বাসেডর তিনি হলে আমাদের বির্তক থাকবে না।