Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

মিশিগানে বিজয় মিছিল বাঁধভাঙ্গা উল্লাস

মিশিগানে বিজয় মিছিল বাঁধভাঙ্গা উল্লাস

শেখ হাসিনা সরকারের পতন

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হওয়ায় মিষ্টি বিতরণ, বিজয় মিছিল ও উল্লাস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সোমবার ৫ আগস্ট কর্মদিবসেও হাজারো মানুষের ঢল নামে রাজ্যের ডেট্রয়েট সিটির জেইন ফিল্ডের বাংলা টাউন এলাকায়। স্থানীয় সময় বিকেল ৬টার আগেই হাজারো প্রবাসীর অংশপগ্রহণে জেইন ফিল্ড থেকে শুরু হয় বিজয় মিছিল। বাঁধভাঙা উল্লাসে মিছিলটি কনান্ট-ক্যানিফ-জসো কম্পো সড়ক দিয়ে হ্যামট্র্যামেক সিটির আলাদীন রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেন শিশু থেকে শুরু করে নানান বয়সী মানুষ। এদিকে শেখ হাসিনার শাসনাবসানের খবরে সোমবার ভোরেই রাস্তায় নেমে পড়েন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বিকেলে বিজয় মিছিলে ‘পালাইছে রে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ সময় কারো হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, কারো হাতে প্রতিবাদী ফেস্টুন। কেউ কেউ দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ঝেড়ে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দেন। সব শ্রেণীপেশার মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে এই বিজয় উল্লাসে অংশ নেন। এসময় তারা ‘এই মুহূর্তে খবর এল, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেল’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, শেখ হাসিনা গেলি কই’, এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন। তবে বিজয় মিছিলের আয়োজন শেষ হলেও সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত জেইন ফিল্ডে আরেক দফা উল্লাসে মাতেন কয়েকশো প্রবাসী।
বিজয় মিছিলে প্রবাসীরা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আনন্দ কীভাবে হয়েছিল তা আজ অনুভব করছি। আমরা আগামীর সরকারকে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। প্রবাসীরা দেশে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের সাথে জড়িত সব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন।
এদিকে সোমবার ভোরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর আসলে মিশিগানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ভোরেই রাস্তায় নেমে আসেন প্রবাসীরা। প্রবাসী বাংলাদেশিরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে, একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে বিজয় উল্লাস করতে দেখা যায়। দেশের এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন পার করা প্রবাসীদের স্বস্তির নিঃশ্বাস আসে ভোরের আলোয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মিশিগানের হ্যামট্রাম্যাক, ওয়ারেন ও ডেট্রয়েটের বিভিন্ন স্থানে ১৮জুলাই থেকে একের পর এক বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাংলাদেশিরা। বিক্ষোভে রেমিট্যান্স বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, শিক্ষার্থীদের গুলি করে মেরে ফেলা, পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending