বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে উচ্ছ্বাস আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। ৫ আগস্ট সোমবার ভোর থেকে নিউইয়র্কে প্রবাসীরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকাসহ অন্যান্য এলাকাগুলোতে পতাকা আর ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রবাসীরা। দেশ স্বাধীন হয়েছেন এমন বক্তব্য দিয়ে মিষ্টি বিতরণ শুরু করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশিরভাগকে লাল-সবুজ মিশ্রিত পোশাক পড়তে দেখা যায়। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে তারা এ উৎসবে মাতেন। প্রবাসীদের এই আনন্দ উৎসবে যেন কোন অনাকাংখিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিউইয়র্ক সিটি পুলিশকে পাহারারত অবস্থায় দেখা যায়। যেখানে কর্তব্যরত পুলিশদেরকেও মিষ্টিমুখ করান শিক্ষার্থীরা।
জ্যামাইকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি মিল্টন কবির জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শোনার পর পর বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে এসেছেন তিনি হিলসাইড ১৬৮ স্ট্রীটে। তার মতো কয়েকশ বাংলাদেশি দিনভর মেতে ওঠেন উৎসবে। তাদের এই উচ্ছ্বাস চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।
বেশিরভাগ প্রবাসীর হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং মাথায় ছিল লাল ফিতা। অনেককে আনন্দে কাঁদতে দেখা যায়। অনেককে বলতে শোনা যায় ‘শুকরিয়া’ ও ‘আলহামদুলিল্লাহ’। অনেকের হাতে ছিল নানান প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন। তাতে শেখ হাসিনার বিদায়ের কথা লেখা ছিল। ‘ঈদ মোবারক’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল অনেকের হাতে। এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আজ ঈদের মতই আনন্দ লাগছে। তাই পরিবার নিয়ে শামিল হয়েছি এই আনন্দে।
এদিকে, আন্দোলন সফল হওয়ায় একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করান। জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকার বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের মিষ্টি মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়। সাধারণ প্রবাসী ছাড়াও আনন্দ উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তাদের মধ্যে ছিল নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সির শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সমর্থকেরা। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের সংবাদে নিউইয়র্কে আনন্দ-উল্লাস করেছে বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা।