রাজনৈতিক আশ্রয় আন্তর্জাতিক আইনের একটি স্বীকৃত অধিকার। কেউ যদি তার নিজ রাষ্ট্র থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শ বা ধর্মীয় কর্মকান্ডের জন্য বিতাড়িত হয় তাহলে ঐ ব্যক্তি মানবিক কারণে অন্য রাষ্ট্রে প্রবেশ ও বসবাসের জন্য অনুমতি লাভ করতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে এসাইলামও বলা হয়। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য বাংলাদেশি এসাইলামের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারেন না বলে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় পান না।
তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য আইনি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গেহি এন্ড এসোসিয়েট। এই প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য অভিবাসন প্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড লাভ করছেন। গেহি এন্ড এসোসিয়েট যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্বস্ত ও সুনামধন্য আইনি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান। যেটি এসাইলাম, ডিপার্টেশন, কম্লিকেটেড ইমিগ্রশন কেইস, ব্যাংক্র্যাপসি, ক্রেডিট কার্ড মেটার, ডিভোর্স, সিটিজেনশিপ, চাইল্ড কাস্টডি, চাইল্ড সাপোর্ট অর্ডার অব প্রোটেকশন – ও সব ধরনের ভিসা এবং ফিয়ানসি ভিসা প্রসেসিং সেবা তুলনামূলক কম ফি’তে দিয়ে থাকে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ওজোন পার্কের লিভারটি অ্যাভিনিউ ও জামাইকা অ্যাভিনিউতে প্রতিষ্ঠানটির অফিস রয়েছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি তো বটেই, দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা; ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপালের কমিউনিটির কাছে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গেহি এন্ড এসোসিয়েটের কর্নধার নরেশ গেহি জানান, রাজনৈতিক সংঘাত, ব্যাংক্র্যাপসি, বর্ডার ক্রসসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, আমরা তাদের গ্রিন কার্ডের জন্য সহায়তা করে থাকি। ব্যবসায়িক কারণে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া, ঋণ খেলাপি, রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে যারা এসাই- লাম আবেদন করেন, আমরা তাদের গ্রিন কার্ড লাভে সহায়তা করে থাকি। গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলে এক্ষেত্রেও আমাদের প্রতিষ্ঠান গ্রিন কার্ড লাভে যাবতীয় সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়া বর্ডার ক্রস করে যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, যারা ইংরেজি জানেন না, যাদের বয়স ৬০ এর কাছাকাছি তাদের গ্রিন কার্ড লাভে আমরা সহযোগিতা করি। নরেশ গেহি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশি কমিউনিটি তো বটেই, দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা; ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপালের কমিউনিটির অসংখ্য মানুষ গ্রিন কার্ড লাভ করেছে।