মাদকমুক্ত করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ
নিউইয়র্কের অন্যতম বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যামাইকা। গেল এক দশকে কেবল বসবাস নয়, ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রসার ঘটিয়েছেন এখানে বসবাসরত বাঙালিরা। তবে শান্তির এ শহরে এখন অন্যতম বিষফোঁড়া হিসাবে দেখা দিয়েছে মাদক। শত চেষ্টার পরও কোনভাবেই মাদককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না এখানকার অধিবাসীরা। যা রীতিমতো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন প্রজন্মের জন্য। আর তাই শেষমেষ মাদকমুক্ত জ্যামাইকা গড়ার বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিচ্ছে নবগঠিত জ্যামাইকা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন। গেল ৮ জুন শনিবার নিউইয়র্কের উডসাইডে গুলশান টেরেসে নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এ অঙ্গীকার করেন সংগঠনটির নেতারা। অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান কমিউনিটির অন্যতম লিডার নাসির আলী খান পল। জ্যামাইকা বাংলাদেশ সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন কবি মনজুর কাদের। তাকে সহায়তা করেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আহসান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক রাব্বী সৈয়দ ও কার্যকরী কমিটির সদস্য জাহিদা আলম। অভিষেক অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। অতিথি হিসেবে ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মো: নাজমুল হুদা এবং নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু। জ্যামাইকা এলাকায় বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন। বিকাশমান এই কমিউনিটির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন অনেকে। যুব সমাজকে মাদক থেকে মুক্ত করতে, নতুন ইমিগ্র্যান্টদের কর্মসংস্থান ও অভিবাসন সংক্রান্ত আইনি সহায়তা দেবার জন্য জেবিএ’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। এতে সংগঠনের ভূমিকায় এগিয়ে আসেন শাহনেওয়াজ, নাসির আলী পল, আহসান হাবিব, ফখরুল আলম, মনজুর কাদেরসহ অনেকে। শাহনেওয়াজকে সভাপতি ও রাব্বী সৈয়দকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় নতুন এ সংগঠনের কার্যকরী ও উপদেষ্টা কমিটি।
সন্ধ্যা ৭টায় এ অভিষেক অনু্ষ্ঠান আরম্ভ হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন রানো নেওয়াজ, চন্দন চৌধুরি, কৃষ্ণা তিথি, কামরুজ্জামান বকুল, মরিয়ম মারিয়া ও মোস্তফা অনিক রাজ।