কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিজের পরিবার তথা স্টুডেন্ট ও তরুণ সমাজ নিয়ে চিন্তিত। যারা তাদের দাবি আদায়ে ও বাক স্বাধীনতার তাগিদে রাজপথে নেমে এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ জুলাই নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় সেফ দ্যা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট শীর্ষক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে নিউইয়র্কের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ।’ এই সভা ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংঘঠনের সভাপতি মো. শামীম হাসান, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসলাম (কলিম), সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন সরকার, মহিলা সম্পাদক জাকিয়া সোলাইমান, দপ্তর সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রফিক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, মিয়া ফয়েজ আহমেদ (জুয়েল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। এছাড়া আরও ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জ্যমাইকা ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ইমদাদুল হক, জাহিদুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, শফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, মামুন সরকার , আল আমিন, জিসান,নুরুল ইসলাম, গোলাম দস্তগীর, ফকরুল ইসলাম মনজুসহ অনেকে। র্যালির শুরুতে সভাপতিত্ব ও উপস্থাপনা করেন সাজেদুল ইসলাম (সজল)। সংঘঠনের সভাপতি মো. শামীম হাসান সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মানুষের তরে আত্ম নিবেদনের ইচ্ছা থেকেই আমাদের এই সংগঠন গড়ার উদ্যোগ। এই যাত্রার শুরুতেই আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নির্বিচারে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর অত্যচার করা হয়। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসলাম (কলিম) বলেন, যে দেশে মানুষের কিছু বলার বা করার স্বাধীনতা নেই, সে সরকারের পতন নিশ্চিত। আমরা প্রবাসীরা নিজের রক্ত পানি করা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখি। শুধু প্রিয়জনের মুখে হাসি ফুটাতে। সেই প্রিয়জনের জীবন অনিরাপদ থাকলে আমরাও অস্থির ও চিন্তিত থাকি। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলিতে দেড়শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। পুরো বাংলাদেশ এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।