যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আগামী ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) হ্যামট্রাম্যাক সিটির প্রাইমারি নির্বাচন নিয়ে ভোট ফ্যাক্টর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলছে নানান সমীকরণ।
এবারের প্রাইমারি নির্বাচনে কাউন্টি কমিশনার পদে বাংলাদেশিদের আশা–ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ভোটের মাঠে সক্রিয় থাকা খাজা শাহাব আহমেদ। ম্যাকম্ব কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট-টুয়েলভ থেকে কমিশনার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খাজা শাহাবকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ আছে এই কমিউনিটিতে। নির্বাচনী প্রচারণায় সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষের জন্য সমান কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন খাজা শাহাব। ভোট যুদ্ধের দৌড়ঝাঁপে রাতদিন ছুটে চলেছেন বাংলাদেশি এই প্রার্থী। খাজা শাহাব আহমেদকে ঘিরে ইতিমধ্যে ব্যাপক জনসমর্থন সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীর সমর্থকেরা। বাঙালি কমিউনিটির শক্তিমত্তা মূলধারার রাজনীতিবিদের কাছে জানান দেয়ার জন্য খাজা শাহাব আহমেদকে বিজয়ী করার প্রয়োজন আছে বলে জানান তারা।
ইতিমধ্যে খাজা শাহাব আহমেদ’র নির্বাচনী সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। গত রোববার (২১জুলাই) বিকেলে ওয়ারেন সিটির আইওনা ব্যানকুইট হলে নির্বাচনী মাঠে ভালো অবস্থানে থাকা খাজা শাহাবের সমর্থকদের আয়োজনে সমাবেশ হয়। নির্বাচনী সমাবেশে আগামী ৬ আগস্ট সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রাইমারি নির্বাচনে বাংলাদেশি এই প্রার্থীকে জয়ী করার আহবান জানানো হয়।
ওয়ারেন সিটির প্লানিং কমিশনার সৈয়দ সাহেদুল হকের সঞ্চালনায় নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন আইওনা মসজিদের ইমাম মোস্তফা আততুর্ক, আল ইহসান মসজিদের ইমাম ফখরুল ইসলাম, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ফয়সল আহমদ, জুবেরুল চৌধুরী খোকন, মুজিব রহমান, আজিজ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বাংলাদেশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাউন্টি কমিশনার পদে খাজা শাহাব আহমেদকে ভোট দেয়ার পক্ষে মত দেন। ডিস্ট্রিক্ট টুয়েলভে বাংলাদেশিদের বিপুল ভোট আছে জানিয়ে কাউন্টি কমিশনার প্রার্থী খাজা শাহাব আহমেদ বলেন, নির্বাচনী যুদ্ধে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে আমি দিনরাত কমিউনিটির সকলকে নিয়ে কাজ করে চলেছি। এখানে আমিই একমাত্র বাংলাদেশি প্রার্থী থাকায় আমার স্বদেশীদের ভোট জয় ছিনিয়ে আনতে সহজ করবে। কমিউনিটির জন্য কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানান তিনি।
ম্যাকম্ব কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট টুয়েলভ থেকে কাউন্টি কমিশনার পদে প্রার্থী হওয়া খাজা শাহাব আহমেদ গত ২০২২ সালের নির্বাচনে একই পদে অংশ নিয়ে অল্প ভোটের কারণে হেরে যান। তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির ম্যাকম্ব কাউন্টির এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও ফিজারাল্ড স্কুল বোর্ডের নির্বাচিত ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে আরেক বাংলাদেশি চারবারের কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ হাসান ওয়েন কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট-থ্রি থেকে কাউন্টি কমিশনার ছাড়াও এই নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-সেভেন থেকে স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ পদে ‘রাইট ইন’ প্রার্থী হয়েছেন। তবে নির্বাচনের মাঠে তার সক্রিয়তা তেমন দেখা যায়নি। একই ব্যালটে দুই পদে প্রার্থী হওয়া মোহাম্মদ হাসান প্রাইমারি নির্বাচনে আছেন নিস্ক্রিয় ভূমিকায়। নির্বাচনে ব্যালটে নাম থাকায় যে কেউ চাইলে ভোট দিতে পারবে জানিয়ে মোহাম্মদ হাসান নিউইয়র্ক সময়কে বলেন, আমি প্রাইমারি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেও প্রচারণায় তেমন একটা ছিলাম না। আপাতত নির্বাচনের মাঠ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।