Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

জ্যাকসন হাইটসে পালিত হলো ১৫ আগস্ট

Published

on

জ্যাকসন হাইটসে পালিত হলো ১৫ আগস্ট

প্রতিবারের মতো এ বছরও নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে এ দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পর্বে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শুরুতে ছিল বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল। দ্বিতীয় পর্বে ছিল তবারক বিতরণ।
এদিন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হযয়েছিল। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে যাওয়ার পর বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। বর্তমানে সেই সরকার দায়িত্ব পালন করছে। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করার উদ্যোগ নেয়। যেখানে তারা অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নিয়েছে, এর মধ্যে বেশির ভাগ স্থানে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়।
তবে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী বিনা বাধায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল চারটায় আর শেষ হয় দশটার কিছুক্ষণ আগে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে স্মরণ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি সাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জেড আলম নমি, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক ও সদস্যসচিব মামুন মিয়াজী। অনুষ্ঠানে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও অনুষ্ঠানে আসেন। জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সাধারণ সম্পাদক জেড আলম নমি বলেন, আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট শোক দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছি। এবারও আমরা এরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এদিন চার হাজারের বেশি প্রবাসী নারী-পুরুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী সংগঠনটি এই প্রবাসে ব্যতিক্রমধর্মী ও দৃষ্টান্তমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিবছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করে। অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিলেন সভাপতি সাকিল মিয়া, আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক, সদস্যসচিব মামুন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলম নমি, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, মিয়া মো. দুলাল, আব্দুল মালেক ও আব্দুল হামিদ। পরিচালনা করেন শাহনেওয়াজ, যুগ্ম সদস্যসচিব ডিউক খান ও মো. মাহবুব রহমান। তত্ত্বাবধানে ছিলেন শাহ জে চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী মইনুল ইসলাম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক আসে বারী টুটুল, চেয়ারম্যান আশরাফ চৌধুরী খোকন, চেয়ারপাসন হারুন ভূঁইয়া, কৌ- চেয়ারপারসন সাখাওয়াত বিশ্বাস, পৃষ্ঠপোষক ফাহাদ সোলায়মান, নুরুল আজিম, তারেক হাসান খান, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, জেড আর চৌধুরী (লিটু) ও আহসান হাবীব। সহযোগিতা করেন মঈনুল ইসলাম, শাহ জে চৌধুরী, বারী হোম কেয়ার, আশরাফুল আলম খোকন, ভেরা রেস্টুরেন্ট, মেসবাহ আবেদীন শেখর কৃষ্ণ, ডা. ফেরদৌস খন্দকার, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন, সি কে (অভি), মনসুর চৌধুরী, প্রিমিয়াম সুইটস, বেঙ্গল হোম কেয়ার, সারা হোম কেয়ার, রেজা রশিদ, মামাস রেস্টুরেন্ট, নুরুল আমিন বাবু, নুরুজ্জামান সরদার, ফরহাদ রেজা, নিলুফা শিরিন, হাসান জিলানী, মোহাম্মদ আলী, মো. কে ভূঁইয়া, গোলাম হাসান, রফিকুল ইসলাম, আক্তার ভূঁইয়া, আকতারুল রহমান মামুন, রনি, মো. কামরুজ্জামান, মো. জাহিদ মিয়া, মো. নাজের উদ্দিন, সাঈদ খান, রাজু আহমেদ, মফিজুর রহমান, জেবিবিএ, হাসান মাহমুদ সোহেল, মো. লুৎফুর রহমান চুন্ন, মো. আশরাফুল আজিজ, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আব্দুল রহিম ভূঁইয়া, মো. আবু তাহের, মো. আনোয়ার হোসেন (অনু), আহাদ ভূঁইয়া, ডা. তৌহিদ শিবলী ও গোল্ডেন এইজ হোম কেয়ার।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কবির চৌধুরী জসী, মো. মানিক বাবু শেখ নোমান পলাশ, কামরুজ্জামান বকুল, আসাদুল ইসলাম আসাদ, মো. হাসনাত হাসান, শামস জনি, শাহীন চৌধুরী, আতাব জনি, আকরাম হোসেন বিপ্লব, আলমগীর খান আলম, মো. সায়েম উল্লাহ, মুক্তা মিয়া, গোপাল সান্যাল, ওয়াসীম, নান্টু মিয়া, গনেশ কীর্তনীয়া, মো. রাদবি, শাহরিয়ার হোসেন, শোভন ও মতিন। কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ হয়।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending