Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

বেতন কমলো হোমকেয়ার সেবায়

Published

on

newyork-somoy

নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। তুলনামূলক যারা কাজ করতে অক্ষম, এমন প্রবীণ ব্যক্তিদের দৈনন্দিন কাজ করার জন্য অন্যের সাহায্য প্রয়োজন হয়। এসব মানুষের স্বাস্থ্য বিবেচনা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ঘণ্টা হিসাব করে একজন সেবাদাতা দেওয়া হয়। সেই হিসেবে সেবাদাতারা পারিশ্রমিক পান।
সিডিপ্যাপের অধীনে থাকা সেবাগ্রহীতারা তাদের পছন্দমতো পরিবারের সদস্যকে সেবাদাতা হিসেবে নিয়োগ করতে পারেন। আগে একেকজন সেবাদাতা ঘণ্টায় ২১ থেকে ২৩ ডলার পর্যন্ত বেতন পেতেন। এখন থেকে তারা আর সেই বেতন পাবেন না। তাদের বেতন কমানো হয়েছে, যা চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী একেকজন সেবাদাতা ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২১ ডলার পর্যন্ত বেতন পাবেন। এতে বিভিন্ন হোম কেয়ার এজেন্সির আয়ও কমবে।
এ ব্যাপারে ইমিয়্যান্ট এন্ডার হোম কেয়ার এলএলসির চেয়ারম্যান ও সিইও গিয়াস আহমেদ বলেন, নিউইয়র্ক স্টেট থেকে নিয়ম করা হযয়েছে গত মাসে । সিডিপ্যাপের আওতায় যারা সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেতন কমবে এতে করে। ফলে এখন যারা ২১-২৩ ডলার কিংবা কোনো কোনো হোম কেয়ার এজেন্সি থেকে আরও বেশি বেতন পেতেন, তারা তা পাবেন না। আগে তারা যে পরিমাণ ঘন্টা পেতেন, এখন সেই পরিমাণ ঘণ্টাও পাবেন না। এতে করে সেবাগ্রহীতার সেবার ঘণ্টার পরিমাণ ও ডলারের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তাদের আয়ও কমে যাবে।
নিউইয়র্কে হোম কেয়ার সংশ্লিষ্টরা বলছেন , হুট করে এমন সিদ্ধান্ত একেবারে ব্যবসাকে শ্লথ করবে। তারা বলছেন, আমরা এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্রতিকার চা্ওয়া হয়েছে। মামলার শুনানি হবে ২৮ আগস্ট। সেদিন একটি আদেশ আসতে পারে। তারা জানান, একদিকে বেতন কমছে, অন্যদিকে সেবার ঘণ্টা কমছে। ফলে যারা এই পেশার সঙ্গে এত দিন ছিলেন, আয় কমে গেলে অনেকেই এই পেশায় নাও থাকতে পারেন। তখন এই খাতে দক্ষ কর্মী পাওয়া কঠিন হবে।
এদিকে, সব হোম কেয়ার এজেন্সিকে মনিটরিংয়ের ক্ষমতা একটি কোম্পানির হাতে দেওয়া হচ্ছে। এতে করেও সমস্যা হতে পারে। একটি কোম্পানিকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিলে আগের মতো সেবা পাওয়া যাবে না। এ-সংক্রান্ত একটি মামলাও করতে যাচ্ছে হোম কেয়ার মালিকরা। তাদের দাবি, একটি কোম্পানির হাতে মনিটরিংয়ের সব ক্ষমতা দেওয়া না হোক। যদি তা দেওয়া হয়, তাহলে গ্রাহকেরা পর্যাপ্ত সেবা পাবেন না।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending