Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

নিউইয়র্কে রেমিট্যান্স ফেয়ারের নামে বিশ্বজিৎ সাহার তামাশা

Published

on

বিশ্বজিৎ সাহা

দেশের টাকা যাচ্ছে ভারতে!

৫ আগস্ট পতন হওয়া শেখ হাসিনা সরকারের অবৈধ সুবিধাভোগীদের মধ্যে নিউইয়র্কে বসবাসকারী অন্যতম একজন ব্যক্তি মুক্তধারার বিশ্বজিৎ সাহা। বইমেলার নামে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রচুর পরিমানে চাঁদা তুলতেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার নামে। এমন অনেক কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন শেখ হাসিনার সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান। সেই সুবাদে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিবাজ আরেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সাথেও ছিল তার সরাসরি যোগাযোগ। নিউ ইয়র্কে বাণিজ্য মেলার নামেও তিনি একই তামাশা করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনাইটেড নেশনে আসলে, তার সঙ্গে আগত এবং এ উপলক্ষে আসা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হোমরা-চোমরা ব্যক্তি ও আমলাদেরকে বিশ্বজিৎ সাহা ‘নিউইয়র্ক ইন্টারনেশনাল ট্রেড ফেয়ার এন্ড চেম্বার এক্সপো’ নামক সেই বাণিজ্য মেলার মঞ্চে বসানোর কৌশলে তার অবৈধ কার্যকলাপের সিন্ডিকেট বজায় রাখতেন। সেই মেলার নামে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে অর্থ আত্মসাৎ করতেন বলেও জানা যায়। যেখানে নামমাত্র দর্শক সমাগমের ফাঁকে মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের অতিথি বানিয়ে বিভ্রান্তির আশ্রয় নিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ বা স্পন্সর আদায় করতেন। বইয়ের ব্যাবসার আড়ালে এটাই ছিল তার মূল ব্যবসা।
এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দীনের সাথে ছিল তার বিশেষ সখ্য। সালমান এফ রহমানের আইএফআইসি ব্যাংক সহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান ছিল তার মূল স্পন্সর। তিনি আইএফআইসি ব্যাংক থেকেও হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমান অর্থ। বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ ক্ষমতা বলে বিভিন্ন উছিলায় তিনি অর্থ আদায় করতেন। এমনকি তার নামে আদম পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। এবং সেই মর্মে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছিলো।
শুধু তাই নয়, তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যেমন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন—বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও ভোল পাল্টিয়ে একইভাবে সুযোগ-সুবিধা আদায়ের কাজ বজায় রেখে চলেছেন। তারই প্রেক্ষিতে আগামী ২০ ও ২১ অক্টোবর নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে ‘বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ফেয়ার ২০২৪’ নামে তিনি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। যেই আয়োজনে মূল সংগীত শিল্পী হচ্ছেন একজন ভারতীয়। এরকম বিভিন্ন আয়োজন ও কৌশলের আড়ালে দেশের টাকা তিনি ভারতে পাচার করেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ফেয়ারে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী কেন, ‘এমন প্রশ্ন করা হলে বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, এর দৃষ্টিকোণটা এমন নয়। শিল্প-সংস্কৃতির কোনো পরিধি বা সীমানা থাকে না। আর আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমন্ত্রণ করে তাকে নিয়ে আসিনি’।
অন্যান্য বছরের মত এবছরও তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। তার রেমিট্যান্স ফেয়ার এবং ভারতীয় শিল্পীর বিষয়টি ইতিমধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটিতে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডগুলোকে প্রবাসীরা ভালো চোখে দেখছেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন অনেকেই।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending