চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র নির্বাচনের ৬টি ভোটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে নির্বাচনী ফলাফল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চুড়ান্তভাবে ঘোষিত না হলেও ভোট গণনার ফলাফলে সভাপতি পদে মাকসুদ হক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রোববার (২০ অক্টোবর) এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট ৪টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়। এর মধ্যে নিউইয়র্কের ব্রুকলীন ও জ্যামাইকা দুটি এবং পেনসেলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া ও কানেকটিকাটের স্ট্যাম্পফোর্ড কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সমিতির কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ দুই প্যানেল মিলে ৩৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্যানেল দুটি হলো ‘মাকসুদ-মাসুদ’ ও ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেল। নির্বাচনে দুই প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হয়েছে। ভোট গণনায় দেখা যায় দুটি প্যানেলের একই পদের একাধিক প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৩ থেকে ১৫ ভোটের ব্যবধান।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ছোটখাটো অভিযোগ ব্যতিত বড় ধরণের কোন অভিযোগ ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটের কার্যক্রম চলে। কিন্তু ভোট শেষে ব্রুকলীন কেন্দ্রে সকল ভোটের তথ্য গণনার সময় রোববার রাতে জটিলতা দেখা দেয়। ভোট গণনায় সভাপতি পদের দুই প্রার্থী মধ্যে ‘মাকসুদ-মাসুদ’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ও ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রর্থী মোহাম্মদ আবু তাহেরের ভোটের ব্যবধান দেখা যায় ২টি। এই গণনায় মাকসুল হক চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ১,০২৮। অপরদিকে মোহাম্মদ আবু তাহেরের প্রাপ্ত ভোট ১,০২৬। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ ভোটের সংখ্যা ছিলো ৬টি। এই ৬ চ্যালেঞ্জ ভোটের মধ্যে কানেকটিকাট কেন্দ্রে ৪টি এবং জ্যামাইকা ও ব্রুকলীন কেন্দ্রে একটি করে ভোট রয়েছে। ফলে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেখা জটিলতা। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ‘চ্যলেঞ্জ ভোট’ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চুড়ান্ত বা প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা না করে ‘অন্তবর্তী ফলাফল’ ঘোষণা করেন। এতে ‘মাকসুদ-মাসুদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা সভাপতি পদ সহ ১৩টি পদে এবং ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের প্রার্থীরা সাধারণ সম্পাদক পদ সহ ৬টি পদে জয়ী হয়েছেন।
‘অন্তবর্তী ফলাফল’-এ মোতাবেক ‘মাকসুদ-মাসুদ’ প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি- মাকসুদুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি- মোহাম্মদ মুক্তাদির বিল্লাহ, সহ সভাপতি- আলী আকবর বাপ্পী ও মোহাম্মদ আইয়ুব আনসারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ হারুণ মিয়া, কোষাধ্যক্ষ- মোহাম্মদ সুমন উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক- মোহাম্মদ ফরহাদ, দপ্তর সম্পাদক- শিমুল বড়ুয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক- মোহাম্মদ আকতার হোসাইন এবং কার্যকরী সদস্য নূরস সোফা, মোহাম্মদ শাহ আলম ও মোহাম্মদ শওকত আলী।
‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন: সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, সহকারী কোষ্যধ্যক্ষ- মোহাম্মদ নূরুল আমীন, সহকারী দপ্তর সম্পাদক- ইমরুল কায়সার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোহাম্মদ জবের শফি এবং ক্রীড়া সম্পাদক- মোহাম্মদ ঈসা।