কমিউনিটি সংবাদ
চট্টগ্রাম সমিতিতে ভাঙনের সুর, রাস্তায় শপথ নিলেন তাহের-আরিফ
Published
3 weeks agoon
নিউইয়র্কের অন্যতম বড় ও ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতিতে এখন রীতিমতো ভাঙ্গনের সুর। যদিও গত অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে নিবার্চন । তারপরও স্বস্তি নেই ভোটারদের মাঝে। চারটি চ্যালেঞ্জ ভোট নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এবার বিভক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম সমিতি।
এই জটিলতাকে সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর রোববার চট্টগ্রাম সমিতির নিজস্ব ভবনের সামনের রাস্তায় অনুষ্ঠিত হলো শপথ, যেখানে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে তাহের-আরিফ প্যানেল সভাপভি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে বিজয়ীরা অংশ নেন। এই শপথ অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করেন মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের বিজয়ী ১০জন। বাইরে রাস্তায় যখন শপথ চলছিল, তখন চট্টগ্রাম সমিতির নিজস্ব ভবনে অবস্থান নেন মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের সবাই। সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল এইচ. চৌধুরী দাবি করেন, তিনিই বৈধ ও বিজয়ী সভাপতি। চট্টগ্রাম ভবন তাদের দখলেই আছে।
ভবন থাকতে রাস্তায় শপথ নেওয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হওয়ার পর এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ও সাপ্তাহিক নবযুগ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর নিউইয়র্ক সময়কে বলেন, শপথ অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম সমিতির ভবনে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল । কিন্তু বেশি সংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারনে ধারণক্ষমতার চেয়ে উপস্থিতি বেশী হওয়ায় ভবনের ভেতরে শপথ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গঠনতন্ত্রের আলোকে পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রোববার নবনির্বাচিত কমিটির শপথ ছিল। এজন্য আগে থেকে বিজয়ীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাহের-আরিফ প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ শেষে তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অন্য বিজয়ীরা চট্টগ্রাম ভবনে উপস্থিত থাকলেও শপথ নেননি।
এদিকে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন, ফলাফল ঘোষণা, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শপথ পড়ানোর ঘটনা নিয়ে ক্রমশঃ পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। গত ২০ অক্টোবর রোববার চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও সংগঠনটি পুনরায় পিছনের দিকে হাঁটছে বলে মনে হচ্ছে। নির্বাচনের দিন মিডিয়া এবং উভয় প্যানেলের প্রতিনিধিদের সামনে ঘোষণা করা ফলাফল ৫ দিন পর পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট জটিলতা চট্টগ্রাম সমিতিকে পুনরায় দ্বিধাবিভক্ত করে তুলেছে। দীর্ঘদিনের বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর সকলের সম্মতিতে সাধারণ সভার মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি দীর্ঘ ১৮ মাসের অধিক সময় ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেও নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে পুনরায় বিভক্ত হতে যাচ্ছে প্রবাসের এই বৃহৎ সংগঠনটি।
নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফল পরিবর্তন করে ২৫ অক্টোবর রাতে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। আর এই ফলাফল ঘোষণা শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ। প্রথম ফলাফলের পর নির্বাচন কমিশন জানান তাদের কাছে ৬টি চ্যালেঞ্জ ভোট আছে। কিন্তু কি কারণে এই চ্যালেঞ্জ ভোট তার সঠিক কোন ব্যাখ্যা নির্বাচন কমিশন দিতে পারেনি বলে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ অভিযোগ করেছেন। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন- সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী পেনসিলভেনিয়া কেন্দ্রে অনৈতিকভাবে গৃহীত চারটি চ্যালেঞ্জ ভোট বাতিলের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে পর পর দুটো অভিযোগ দাখিল করেছি। কয়েক বার ফোন করেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের অভিযোগের কোনো উত্তর দেননি এবং ফোন কলও রিসিভ করেননি। তাদের এসব অভিযোগকে অগ্রাহ্য করে কমিশন নির্বাচিতদের কয়েকজনের কাছে শপথের জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পুর্বে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠায়। চিঠির ভাষ্য অনুযায়ী গত রোববার ৩ নভেম্বর দুপুর ২টায় সংগঠনের কার্যালয়ে শপথ পড়ানোর কথা থাকলেও মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ আগে থেকেই সংগঠনের কার্যালয় তাদের দখলে নিয়ে নেয়। ফলে নির্বাচন কমিশন সিকিউরিটি ভাড়া করে, তাহের-আরিফ পরিষদের বেশ কিছু সমর্থকসহ সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা, যেমন সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ হানিফ, মনির আহমদ, কাজী আজম প্রমুখ এবং সর্বশেষ পুলিশ কল করেও ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন তাহের-আরিফ পরিষদের কয়েকজনকে ফুটপাতে তাদের ভাড়া করা সিকিউরিটি এবং পুলিশের পাহারায় শপথ পাঠ করান । তখন উপস্থিত চট্টগ্রামবাসীরা নির্বাচন কমিশনকে ভুয়া ভুয়া বলে শ্লোগান দিতে থাকে।
দ্বিতীয় ফলাফল ঘোষণার পর থেকে মাকসুদ মাসুদ পরিষদের প্রতিনিধি ও সচেতন কয়েকজন চট্টগ্রামবাসী বিষয়টিকে সুরহা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বার বার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্রের ধারা রক্ষা করার কথা বলে তাদের কোন অনুরোধের প্রতি কর্ণপাত না করায় সংগঠনটি আজ বিভক্তির মুখে পড়েছে বলে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ ও কয়েকজন চট্টগ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন- নির্বাচন কমিশন তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তারা নিজেদের করা বিধিমালা নিজেরাই ভঙ্গ করেছেন। তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন, যা সম্পুর্ণ অনৈতিক, অসাংগঠনিক, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। তারা বিতর্কিত চ্যালেঞ্জ ভোট গণনার সময় মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের কোন প্রতিনিধি সাথে রাখেনি! যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়! মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের দাবি- হয় প্রথম রেজাল্ট যা মেশিন ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে তা মেনে নিতে অথবা সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে পেনসিলভেনিয়ার ভোট বাতিল করে ঐ কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে, অন্যথায় মাকসুদ-মাসুদ পরিষদেই চট্টগ্রাম সমিতির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কারণ ঐ বিতর্কিত কেন্দ্রের ভোট বাতিল করলে অন্যান্য সব কয়টি কেন্দ্রে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ পুর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছেন।
তারা বলেন- আমরা কোন বিভক্তি চাই না। তবে জোর করে কেউ জনগণের দেয়া ভোটের রায়কে নষ্ট করতে পারবে না। সচেতন চট্টগ্রামবাসী মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের পক্ষে আছে বলে তারা দাবি করেন।
খলিল বিরিয়ানী ফ্রাঞ্চাইজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
১২ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ, ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বর্ণাঢ্য আয়োজন: বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের লালগালিচা সংবর্ধনা
তৃতীয় বার্ষিক বিজনেস এক্সপো-২০২৪: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উন্মোচনে সাফল্যের সাক্ষী
নিউইয়র্ক সিটির ভাড়াটিয়াদের ব্রোকার ফি বন্ধের বিল পাস
গানবাংলার তাপসের যত কেলেঙ্কারি
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে ৫ নভেম্বরের দিকে
বাংলাদেশে হাসিনার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের স্থান নেই: ড. ইউনূস
বিজয়ী ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের প্রার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণ
Trending
-
বাংলাদেশ24 hours ago
বাংলাদেশে অরাজকতা তৈরির ষড়যন্ত্র, পেছনে কলকাঠি নাড়ছে আওয়ামী লীগ!
-
নিউইয়র্ক24 hours ago
ট্রাম্পের ঘোষণায় আতঙ্কিত না হয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিন: অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী
-
বাংলাদেশ24 hours ago
দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন
-
নিউইয়র্ক23 hours ago
১২ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ, ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির