আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো খলিল বিরিয়ানী ফ্রাঞ্চাইজ। গত শনিবার নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে আয়োজিত এ জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে খলিল বিরিয়ানী হাউজের সিইও খলিলুর রহমান ফ্রাঞ্চাইজের আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি শহরে ইতোমধ্যে এই ফ্রাঞ্চাইজ রেস্টুরেন্ট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমটি উদ্বোধন হবে বাফেলোতে। অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশিগানের ডেট্রোয়েট, ফ্লোরিডার মায়ামী, ওয়াশিংটন ডিসি, আলবেনী, বিংহাম্পটন ও ফিলাডেলফিয়া।
১৮ সেপ্টেম্বর খলিল বিরিয়ানী ফ্রাঞ্চাইজ নিউইয়র্ক স্টেট থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়। সংবাদ সম্মেলনে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সিপিএ আহাদ আলী ও শামীম আল আমীন। ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার
অব কর্মাসের সভাপতি লিটন আহমেদও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
খলিলুর রহমান বলেন, পেশাদার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী খলিল বিরিয়ানী’র ফ্রাঞ্চাউজ নিতে পারবেন। এতে ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার। ফ্রাঞ্চাউজ ফি ৩৫ হাজার ডলার। রয়ালিটি ফি গ্রস সেলসের শতকরা ৫ ভাগ প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া, লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতেও এই ফ্রাঞ্চাইজ চালু হবে ইনশাল্লাহ।
সাংবাদিকরা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে খলিলুর রহমানের ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করেন। মডারেটর সিপিএ আহাদ বলেন, ফ্রাঞ্চাইজ রেস্টুরেন্ট খোলার বেলায় ব্যাংক লোন পাওয়া খুবই সহজ। অন্যন্য প্রাইভেট লোনের মতো ঝামেলা পোহাতে হবে না। এই প্রক্রিয়ায় আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।
খলিলুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের তকমা নিয়ে ব্যবসা করছেন। আর আমরা বাংলাদেশি ব্রান্ড প্রসারে কাজ করছি। এই ফ্রাঞ্চাইজের খাবার বাংলাদেশি খাবার হিসেবে বিশ্বব্যাাপী পরিচিতি লাভ করবে। ইতোমধ্যেই খলিল বিরিয়ানী যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী বাংলাদেশি খাবার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
খলিল বলেন, দক্ষ সেফ গড়ে তুলতে খলিল বিরিয়িানী ফাউন্ডেশন একটি কুলিনারী স্কুল চালু করেছে। ঢাকায় এই স্কুলটি জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে। ফ্রাঞ্চাইজের খাবারের মান রক্ষায় আমাদের একটি মনিটরিং টীম থাকবে। প্রাথমিকভাবে ৫০টি রিসিপি নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজ যাত্রা শুরু করবে। আমাদের নিজস্ব কারাখানা থেকে স্পেশাল মশলা সরবরাহ করা হবে।