Connect with us

খোলামত

ব্রিটেনের নির্বাচন : কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির পেছনে যে সব ফ্যাক্টর কাজ করেছে

ব্রিটেনের নির্বাচন : কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির পেছনে যে সব ফ্যাক্টর কাজ করেছে

৪ জুলাই হয়ে গেল যুক্তরাজ্যের আগাম নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে ৪১২ আসনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতার মসনদে বসলো; অপর দিকে কনজারভেটিভ পার্টির ( টোরী পার্টি ) ১৪ বছরের শাসনের অবসান হলো। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কিয়ার স্টারমার।
নানাবিধ কারণে গত এক বছর ধারে ক্ষমতাসীনদের জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছিল। সম্ভাব্য পরাজয়ের ঝুঁকি এড়াতে এবার নির্বাচনের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক।
এই দলের নেতারাও আশা করেছিলেন, হঠাৎ করে নির্বাচন আহ্বান করা হলে লেবার পার্টির পরিকল্পনাগুলো মাঠে মারা যাবে। বিশেষ করে বর্তমানে কমে আসা মুদ্রাস্ফীতিকে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করেছিলেন। সাধারণত বিপুল মুদ্রাস্ফীতি সরকারকেই দোষারোপ করা হয়। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার কমের দিকে। কিন্তু এসব কৌশল তাতে খুব একটা কাজ করেনি।
নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে, লেবার পার্টি ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে। ১১৯ আসন পেয়েছে ক্ষমতাসীন টোরি পার্টি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৭১ আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও এসএনপি জয় পেয়েছে ৯ আসনে। ৭ আসন পেয়েছে এসএফ। ২৮টিতে জয় পেয়েছে অন্যান্যরা। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে এককভাবে পেতে হবে ৩২৬টি আসন। ২ আসনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এই ফলাফলের মাধ্যমে ২০১০ সালের পর আবারো ডাউনিং স্ট্রিটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী আসলেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে দেয়া প্রথম ভাষণে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। রাজনীতিকে জনগণের সেবায় ফিরিয়ে দিয়েছে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর স্টারমার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডাউনিং স্ট্রিটে যান। ভাষণের শুরুতেই তিনি দেশের প্রথম ব্রিটিশ-এশীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাকের অর্জনের কথা তুলে ধরেন। নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে সুনাক যে ‘নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রম’ করেছেন, তাও স্বীকার করেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন নতুন করে দেশ গড়া প্রয়োজন। আমরা কে তা নতুন করে আবিষ্কার করার সময় এসেছে।’ ২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
একটানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ক্ষমতাসীন দলের প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিরক্তি ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ব্যাংকের সুদহার ও ঘরভাড়া। কিন্তু সরকার এসব সমস্যায় কার্যকর কোনো সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২২ সালের অক্টোবরে ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতি। সম্প্রতি তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দীর্ঘসময় ধারে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে। যার ফলে ব্রিটেনের মানুষ আরও বেশি গরিব হতে থাকে। ২০২৩ সালে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হয় মাত্র ০.১ শতাংশ। যার ফলে তৈরি হতে থাকে মন্দা। এর ফলে ক্রমশ ক্রোধ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
এটাই সুনাক সরকারের পরাজয়ের সবচেয়ে কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ধীর গতি অস্বস্তিতে ফেলেছে ব্রিটেনকে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির তুলনায় অর্থনৈতিক বৃদ্ধির এই শম্বুক গতি চূড়ান্ত আকার ধারণ করে গত বছর। ফলে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির দিক থেকে।
তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ঋষি সুনাক যে দেশ পরিচালনায় খুব খারাপ ছিলেন না। শিক্ষার মান, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও মূলধন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ছাড়সহ নানা বিষয়ে ভালো করেছেন। এছাড়াও দলীয় কোন্দল দলটিকে খাদের কিনারে নিয়ে এসেছে।
নির্বাচনে লেভার পার্টির বিজয়ের অন্যতম কারণ টোরি পার্টির দিক থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া। আমরা সকলেই কম-বেশি জানি যে, যুক্তরাজ্যের ভোটের রাজনীতিতে একটি ফ্যাক্টর হচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটির ভোট ৷ এখানে অন্তত ১৬ লাখ বাংলাদেশি মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে সম্প্রতি কেয়ার ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটে আরো অন্তত কয়েক হাজার বাংলাদেশি ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছেন। তারা এবারের নির্বাচনে ঋষি সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির ক্ষমতায় যাওয়ার পথে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
তাছাড়াও গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের নগ্ন ও বর্বরোচিত হামলায় ঋষি সুনাকের নিরঙ্কুশ সমর্থনের কারণে দেশের মুসলিম ভোটাররা সরকারের ওপর চরম বিরক্ত তিনি। তা ভোটের ফলাফলে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এছাড়াও স্বাস্থ্য পরিষেবায় অবনমনও নির্বাচনে টোরি পার্টির পরাজয়ের পথকে সুগম করেছে! একসময় ব্রিটেনের স্বাস্থ্য পরিষেবা সারা বিশ্বের কাছে ছিল দৃষ্টান্তস্বরূপ। কিন্তু সেই পরিষেবা ক্রমশই নিম্নমুখী হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের পড়তে হয়েছে অনেক সমস্যায়। সময়মাফিক ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না তাঁরা। আর এই কারণেই কনজারভেটিভ পার্টিকে জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছে।
নিচে নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির (টোরী পার্টি) পরাজয়ের মোটাদাগের কারণগুলো তুলে ধরা হলো:
১. অর্থনীতির দুরবস্থা: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা টোরী সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা বলে মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষক নির্বাচক মন্ডলী। অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অব্যাহত নিম্নগতি। ব্রিটেনের জনগণকে আরো দারিদ্রতার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদগণ। ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের অক্টোবরে গিয়ে দাঁড়ায় ১.১ শতাংশ। আর এরপর থেকেই সরকারের অর্থনৈতিক নীতিমালার বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন দেশের জনগণ।
২. অভিবাসন নীতি: সম্প্রতি বছরগুলোতে যুক্তরাজ্যে নৌকাযোগে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অনেক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপদ জীবনের লক্ষ্যে ব্রিটেনে
বসবাসের আশায় পাড়ি জমাতে থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে রুয়ান্ডাতে অভিবাসী প্রত্যাশীদের পাঠিয়ে দিতে সুনাক সরকারের সিদ্ধান্ত সমালোচনার জন্ম দেয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিষয় সমালোচনা করে এমন পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, অমানবিক বলে অভিহিত করে। কারণ যুদ্ধ, অস্থিরতা আর দুর্ভিক্ষের জন্য পালিয়ে বাঁচা ছাড়া সাধারণ মানুষের বিকল্প পথ থাকে না। ইংলিশ চ্যানেলে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছিল। এশিয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। চলতি বছরে ২৩ হাজার অভিবাসী প্রত্যাশী ছোট নৌকাযোগে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন আর যা গত বছরের তুলনায় সাড়ে ৮ হাজার বেশি বলে জানান হয়।
৩. ট্যাক্স: বরিস জনসনের পর লিজ ট্রাস দায়িত্ব পাওয়ার পর বিতর্কিত ট্যাক্স কাটিং ইস্যু নিয়ে ‘মিনি বাজেট’ প্রণয়নের ফলে মাত্র ৪৯ দিন ক্ষমতায় থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়। তার প্রণীত বাজেটের ফলে জনস্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হুমকির মুখে পড়ে।
৪. ব্রেক্সিট ইস্যু: ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্রিটিশরা ভোট দিলেও এখন পর্যন্ত ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ সুনাক সরকার। কারণ হিসাবে বলা হয়, ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কার্যকর চুক্তি পাস না হওয়ায় বারবার আটকে যায় প্রক্রিয়াটি। ব্রেক্সিট চুক্তি পাস না হওয়ার বড় কারণ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা। থেরেসা মে কিংবা বরিস জনসন, যতবারই প্রস্তাব তুলেছেন ততবারই প্রয়োজনীয় সংখ্যক এমপিদের সমর্থন না থাকায় তা আটকে যায় ১ কোটি ৭৪ লাখ মানুষের গণভোটের রায়। ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করেছিলেন গণভোট আয়োজনের সময় ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ জনগণ ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রায় দিলে তিনি পদত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আশায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া থেরেসা মে। তবে ২০১৭ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় থেরেসার নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় আসে।
সব মিলিয়ে গেল কয়েক বছর ধারে বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণেই কনজারভেটিভদের ১৪ বছরের শাসনামলের পতন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেইসঙ্গে, ব্রিটেনজুড়ে পরিবর্তনের যে ডাক দিয়েছিলেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার, সেই ডাকে সাড়া দিয়েই ব্রিটেনবাসী দেশজুড়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন বলেও মত তাদের।
৫. ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার: ডেন্টাল চিকিৎসা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অঙ্গীকারের বিষয়টিকে খুব একটা সফলভাবে সুনাক সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বা হাসপাতালে একটি বেড পেতে বয়োবৃদ্ধদেরকেও অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস প্রধান ইলি অরটন অবশ্য সুনাকের এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন; তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
৬. জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থতা: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জাপান সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তেমন সফলতা নেই বলে দাবি পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের। পরিবেশবাদীরা জলবায়ু ইস্যুতে তার সরকারের ধীরগতি বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পরিবেশবাদীরা জলবায়ু ইস্যুতে তার সরকারের ধীরগতি বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
৭. বরিস জনসনের পার্টিগেট কেলেঙ্কারি: ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্সে কোভিড চলাকালীন সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অফিসে পার্টি অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিয়ে জনসম্মুখে আবারো সমালোচনা করে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, জনসনের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকার জন্য পার্লামেন্টে আইন প্রণেতারা তার বিরুদ্ধে ৩৫৪ ভোট দিয়ে অনাস্থা এনেছিলেন। এর ফলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আইন মানতে বাধ্য ও সত্য প্রকাশের সাহস থাকা উচিত বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে লেবার পার্টির সাবেক এক এমপি পার্টি গেট বিষয়ে ভোটারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ কাজ করছে বলে মনে করেছেন।
৪ জুলাই ২০২৪ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে টানা ১৪ বছরের ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হয়েছে; পরাজয় মেনে নিয়েছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। আর ভোটে ‘পরিবর্তনের’ ডাক দিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। ঋষি সুনাক বলেন, লেবার পার্টি প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে. কিন্তু দলের নেতা স্টারমার একজন ভদ্র, জনহিতৈষী মানুষ. আমি তাঁকে সম্মান করি। তাঁর জয়ের জন্য আবারও অভিনন্দন জানাচ্ছি’।
এই বলেই শেষ করতে চাই, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশ ব্রিটেনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এর নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য আরো বিকশিত হলো। দেশে দেশে গণতন্ত্র যেখানে হুমকি মুখে সেখানে ব্রিটেনের নির্বাচন অনেকটাই আশার আলো দেখাচ্ছে। দেশটির নির্বাচনে ছয় বাংলাদেশি জয়লাভ করেন। এদের মধ্যে রশনারা আলী পঞ্চমবার এবং বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী চতুর্থবারের মত জয়লাভ করে বাজিমাত করেছেন। এ নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি সব এমপিকে অভিনন্দন জানাই।

[তথ্যসূত্র: বিভিন্ন সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ এবং সংবাদ পর্যালোচনা]

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending