‘ফ্যাশনের অলিম্পিক’খ্যাত মেট গালার গালিচায় এ নিয়ে পরপর দুইবার হাঁটলেন আলিয়া ভাট। এবারের আসরে তাঁর উপস্থিতি নজর কেড়েছে সারা বিশ্বের গণমাধ্যমের। বলা হচ্ছে, মেট গালায় আলিয়ার এই উপস্থিতি তারকা হিসেবে বিশ্বজুড়ে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও ধেয়ে এসেছে আলিয়ার পিছু পিছু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একটি বড় অংশ তাঁকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
কয়েক মাস ধরে ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্লক আউট নাউ’ শিরোনামে আন্দোলন চলছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে যে তারকারা সরব হননি, কিংবা নীরবতা পালন করছেন অথবা ইসরায়েলকে সমর্থন করছেন; তাঁদেরকে বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। এ ডিজিটাল প্রতিবাদের উদ্দেশ্য, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি দাবি জানাতে ওই তারকাদের বাধ্য করা। এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিরাট কোহলি, কিম কারদাশিয়ান, টেলর সুইফট, বিয়ন্সে, কাইলি জেনার, জেন্ডায়া, মাইলি সাইরাস, সেলেনা গোমেজ, আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, কেটি পেরি, নিক জোনাস, জাস্টিন টিম্বারলেকসহ অনেক তারকাকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আলিয়ার নামও যুক্ত হয়েছে এ তালিকায়।
আলিয়া ভাট
মেট গালায় তারকাদের ওপর তাক করা থাকে কয়েক হাজার ক্যামেরা। লাখো মানুষের চোখ থাকে তাঁদের ওপর। মেট গালার গালিচা ফ্যাশনের ভেতর দিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম সেরা সুযোগ। কিন্তু এ বছর ইসরায়েলি হামলার এই ভয়ংকর বাস্তবতার সময়ে দাঁড়িয়েও কাউকে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। অথচ এর আগে ‘মি টু মুভমেন্ট’, ‘ট্যাক্স দ্য রিচ’, ‘টাইমস আপ’সহ অনেক আন্দোলনের সমর্থনে তারকারা সরব হয়েছেন মেট গালার আসরে। সে কারণে এবারের মেট গালার অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে। কিন্তু এ বিষয়ে মেট গালায় অংশ নেওয়া তারকারা ছিলেন নিশ্চুপ। এই নীরবতাকে সামগ্রিকভাবে শিল্পীদের নৈতিক অধঃপতন হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাজ্যের ‘ফ্যাশনসৈনিক’খ্যাত ভেনেটিয়া লা মানা।