তাহসান খান সম্প্রতি ইত্যাদিতে তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে যৌথভাবে গান গেয়েছেন, সেই গান হিট। ব্ল্যাক ব্যান্ডের রি-ইউনিয়ন কনসার্ট করলেন, পরিকল্পনা রয়েছে আরও। বিরতি দিয়ে ফিরছেন অভিনয়েও। গান, অভিনয়, ভাইরাল, হিটসহ বিভিন্ন বিষয় তাহসানের সাথে কথোপকথন
অভিনয়ে ছিলেন না
আসলে অভিনয়ে তো আমি এসেছি অন্যের কারণে। আফসানা মিমি আপা আমাকে টেনে নাটকে অভিনয় করালেন। এরপর শিহাব শাহীন ভাই করালেন মনসুবা ও নীলপরী নীলাঞ্জনা। দর্শকরা পছন্দ করলেন এরপর অভিনয় শুরু করলাম। আমার তো অভিনয়ের কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না, কোনো থিয়েটার করিনি। মনে হচ্ছিল একই ধরনের অভিনয় হয়ে যাচ্ছে কি না। মনে হলো অভিনয়ে কিছু প্রশিক্ষণ নিলে ভালো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে গেলাম। সেখানে অ্যাক্টিং-এর ওপর কিছু কোর্স করলাম।
শ্রোতারা না চাইলেও গান করবেন
দেখেন অভিনয় তো আমি দর্শকের চাহিদায় করি। কিন্তু গানটা আমি নিজের ক্ষুধায় করি। দর্শক চাইলে অভিনয় করব, না চাইলে করব না। কিন্তু শ্রোতারা না চাইলেও আমি গান করব। অভিনয়ের ক্ষেত্রে মনে হলো এখন ধরনটা পরিবর্তন হচ্ছে, তাই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওটিটিতে ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। ওয়েব সিরিজ করলাম। এটা মুক্তি পেলে দর্শক বলুক কেমন হয়েছে।
তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে গাইলেন এবং হিট হয়ে গেল
হ্যাঁ এর জন্য আসলে কৃতজ্ঞতা হানিফ সংকেত দা, ইমরান তাসনিয়া ফারিণসহ সবাইকেই। গানটা হিট হয়েছে, ভাইরাল হয়েছে, আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। মানুষ এটা নিয়ে কথা বলছে, অবশ্যই ভালো লাগার। তবে সবচেয়ে ভালো লাগবে তখন, যখন ২০ বছর পরেও মানুষ এই গানটাকে মনে রাখবে। কদিন আগে ব্ল্যাকের রি-ইউনিয়ন কনসার্টে পরাহত ও প্রাকৃতিক গানটা যখন গাইলাম তখন হাজার হাজার মানুষ আমাদের সঙ্গে গাইছে। আমরা মনে করেছি এটা মানুষ ভুলে গেছে। কিন্তু এটাই সার্থকতা যে গানের কথাগুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করে সেটা হৃদয়ে লালন করে। আমি শুধু ভাইরালের ক্ষেত্রে নয়, আমি চাই সমস্ত ভালো গান মানুষ শুনুক। সাংবাদিকরা ভালো গানের কথা লিখুক, সেটা হিট হোক আর না হোক। কদিন আগে মাশার একটা গান শুনলাম, ভিউজ হয়নি উল্লেখযোগ্য, কিন্তু গানটা সুন্দর। আমার কথা হচ্ছে- ভাইরাল নাও টিকতে পারে কিন্তু ভালো গান টিকে থাকবে।
ব্ল্যাক নিয়ে এই পরিকল্পনা কীভাবে এলো, সামনে আরও পরিকল্পনা রয়েছে কি না?
২০০৫ সালে যখন আমি ব্ল্যাক ছেড়ে দিই, তখন যেখানে যাই সবাই বলছে ব্ল্যাকের তাহসানকে খুব মিস করি। তখন থেকেই মাথায় ছিল এটা। আমরা তো এখানে খুব বেশি সময় পারফর্ম করিনি। এরপর পরিকল্পনা রয়েছে, সারা দিন ধরে কনসার্ট করব, সেখানে আমরা আমাদের সব গান গাইব, অন্য ব্যান্ড থাকবে তারাও আমাদের গান গাইবে।
তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে গান গাওয়ার প্রস্তাব পেলেন, আপনি দ্বিধায় পড়েননি, যে নতুন একজনের সঙ্গে গাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
আমরা শিহাব শাহীনের দুটো কাজ করার সময় দীর্ঘ সময় পেয়েছি কথা বলার। সেই সময়টা আমি জেনেছি ফারিণ বেশ ভালো গান গায়। তো আমাকে যখন ফারিণের সঙ্গে গাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় এটা আমরা কাছে মোটেও অবাক করা বিষয় মনে হয়নি, কারণ আমি জানি ফারিণ ভালো গায়। ফলে গানটা আসলেই ও ভালো গাইল এবং মানুষ গ্রহণ করল।
আপনি শিল্পী হবেন, গাইবেন এটা কাদের গান শুনে আপনার ভেতরে তৈরি হলো?
নিউ মার্কেট থেকে এলআরবির ফার্স্ট ডাবল ক্যাসেট কিনলাম। এটা আমাকে ভীষণ আলোড়িত করল। এরপর জেমসের অনন্যা, ফিডব্যাকের ‘বঙ্গাব্দ ১৪০০’, মাইলসের প্রত্যাশা, ওয়ারফেইজের প্রথম অ্যালবাম- আমাকে সংগীতশিল্পী বানানোর পেছনে এসব অ্যালবামের গান প্রভাবিত করেছে। তখন তো আমরা ব্যান্ডের গান শুনতাম, তখন সারা দেশেই ব্যান্ডের গান শুনত, এখন হয়তো শহরকেন্দ্রিকতা বেড়েছে। ওই গান শুনেই পরে গান গাওয়া শুরু করলাম, এভাবেই…