Connect with us

তারকা ভুবন

‘আইটেম গানে শুট করে বাসায় গিয়ে মার খেয়েছিলাম’

Published

on

ঢাকাই চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শোবিজে পথচলা এই নায়িকার। শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও পরবর্তীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বড় পর্দায়। একটা সময় মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমা করে দর্শকের নজরে আসেন এই নায়িকা।
বর্তমানে দর্শকদের কাছে ববির পরিচয় কখনো লেডি অ্যাকশন স্টার, আবার কখনো বিজলি। কিন্তু ববির ক্যারিয়ারে এমন অবস্থানে আসার পেছনের গল্প খুব একটা সুখকর ছিল না। যেমন, ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল নানান প্রতিকূলতা, আবার ছিল না কোনো পারিবারিক সহায়তাও। সব মিলিয়ে নিজের মতো করে, নিজের চেষ্টায় নিজের মাটি শক্ত করেছেন এই নায়িকা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার নিয়ে নানান আক্ষেপের কথা জানালেন ববি। নায়িকা জানালেন, তার বাবার পছন্দের কিছু ছবি করার ইচ্ছে রয়েছে তার। সেগুলো এখনও তিনি করেননি, তাই রয়েছে নানান আক্ষেপ ও ক্ষুধা। তবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আসাতে ঘোর আপত্তি ছিল ববির মায়ের। এই নায়িকার মা মনে করতেন, মেয়ে এভাবে সিনেমা করলে অভিভাবক হিসেবে সম্মানহানি হবে তার। ফলে দেশের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্তও একরকম নিয়ে ফেলেছিলেন ববির মা।
ক্যারিয়ারে নিজের কাজের আক্ষেপ নিয়ে ববি বলেন, ‘আমি বাবার সঙ্গে বেশ কিছু ছবি দেখে বড় হয়েছি। যেমন দীপু নম্বর টু, শাবানা আজমির আর্ট, উত্তম সুচিত্রার ছবি-যা বাবার খুব পছন্দ। আমি চাচ্ছি এখনও কিছু কাজ করব। অনেকে বলেন আমি সাকসেসফুল হিরোইন- এখন অন্যকিছুর চেষ্টা করো। কিন্তু আমার মনে যে খিদা রয়ে গেছে, আমি কিছু গল্প করতে চাই আমার বাবার জন্য।’
ববি বলেন, ‘আমার ছবি অডিয়েন্স পছন্দ করেছে, আই রেস্পেক্ট দ্যাট। কিন্তু কমার্শিয়াল ছবিও ইন্ডাস্ট্রিজে থাকতে হয়, সেটা অনেক পরে বুঝেছি। আমি কাজ করেছি, চোখ মুখ বন্ধ করে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে এমন বাজে সময়ে এসেছি, তাই খুব গর্ব হয়। আবার তখন পরিবার থেকেও ১ শতাংশ সাপোর্ট পাই নি।’
ক্যারিয়ার নিয়ে পরিবারে কতটা খারাপ সময় কেটেছে তার, তা তুলে ধরে ববি বলেন, ‘একটা সময় অনেক বাজে সময় আমি পার করেছি। মায়ের সঙ্গে আমার যে লড়াইটা চলেছে কাউকে ভাষায় বলার মতো না। আমার কিছু কোল্ড জুয়েলারি, ক্রেস্ট ও কিছু ক্যাশ আমি বাসায় এনে দিয়েছিলাম। আমার মা এসব দেখে ছুঁড়ে ফেলেন। বাইরেও পলিটিক্সের শিকার হয়েছি, বাসায় এসে চড়ও খেয়েছি, যেমন আমি দেহরক্ষী আইটেম গানে শুট করে বাসায় গিয়ে মার খেয়েছিলাম।’

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending