ওজন কমাতে খাওয়ার আগের নানাবিধ টোটকা অভ্যাসের কথা নানা মানুষের কাছে আমরা শুনে থাকি। অনেকে দাবি করেন, কোনো বিশেষ একটা ‘টোটকা’য় তিনি দারুণ উপকার পেয়েছেন। কিন্তু আসলেই কি এগুলোতে কাজ হয়?
খাওয়ার আগে পানি খাবেন : খাওয়ার আগে খানিকটা পানি খেয়ে নিলে খাবার গ্রহণের পরিমাণটা কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু আগেভাগে পানি খেতে গিয়ে অনেকের অস্বস্তি হতে পারে, হতে পারে হজমের সমস্যাও। তাই খাবার খাওয়ার আগে পানি খেতে চাইলেও সেটি এক গ্লাসের বেশি নয়। আর এই পানিও খেয়ে নিতে হবে খাবার শুরু করার অন্তত ২০ মিনিট আগেই।
স্যুপ খেতে চাইলে : খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানান, খাবারের আগে স্যুপ গ্রহণ করাও ভালো অভ্যাস। এভাবেও অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে অবশ্যই বেছে নিতে হবে ‘ক্লিয়ার’ স্যুপ, অর্থাৎ কর্ন ফ্লাওয়ার–জাতীয় কিছু এতে থাকবে না। কারণ, কর্ন ফ্লাওয়ারও কিন্তু শর্করা। তাই কর্ন ফ্লাওয়ার মেশানো ঘন স্যুপ খাওয়ার অর্থ হলো আরও কিছু বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ।
খেতে বসুন পরিকল্পনা করে : রসনাবিলাসী মানুষের জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ সত্যিই ভীষণ দুরূহ এক কাজ। তবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের অর্থ যে কেবল বিস্বাদ খাবার খাওয়া, তা–ও কিন্তু নয়। আপনার খাদ্যতালিকা হোক বৈচিত্র্যময়। আর খাবারের পরিমাণটা কম রাখার জন্য ঠিক করে নিন, কোন খাবারটা আগে খাওয়া উচিত, আর কোনটি পরে। কেবল সবজি দিয়ে খাওয়া শুরু করুন। সালাদও খেতে পারেন। এরপর কিছুটা আমিষজাতীয় খাবার নিন। এরপর যে সবজি আর আমিষ রয়ে যাবে, তা দিয়ে খেয়ে নিন ভাত কিংবা রুটি। এভাবে খেলে ভাত বা রুটির পরিমাণ কমানো যাবে। আবার পুরো খাবারটা পরিপাক হয়ে পুষ্টি উপাদানগুলো দেহে শোষণ হতেও একটু বেশি সময় লাগবে, ফলে অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষুধাও পাবে না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এভাবে খাওয়া হলে খাওয়ার পর হুট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। ফলে রক্তনালির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।