Connect with us

সুস্বাস্থ্য

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

Published

on

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

দেশের নারীরা কিছু সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলতে খুবই সংকোচ বোধ করেন। যত দিন সম্ভব সমস্যার কথা চেপে রাখেন। একপর্যায়ে রোগটা জটিল আকার ধারণ করে। জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়া এমনই একটি সমস্যা।

কারণ
কিছু মাংসপেশি ও লিগামেন্ট জরায়ুকে নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করে। জন্মগতভাবে যদি কারও এ কাঠামো দুর্বল থাকে, তবে এ সমস্যা হতে পারে।
সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণভাবে খোলার আগেই যদি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয়।
প্রসবব্যথা যদি ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় এবং প্রসবকালে জরায়ু নিচের দিকে ছিঁড়ে যায়।
এক সন্তান নেওয়ার পর স্বল্প বিরতিতে আরেক সন্তান নিলে। দুই সন্তানের মধ্যে বয়সের ব্যবধান এক বছরের কম হলে ঝুঁকি বেশি।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুর মাংসপেশিসহ সহায়ক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়লে।
অনেক দিন ধরে কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে।
প্রসব-পরবর্তী যত্ন সঠিকভাবে না নিলে এবং ভারী জিনিস ওঠানোর কাজ করলে।

লক্ষণ
তলপেটে ও যোনিপথে কোনো কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি হলে।
মাসিকের পথে জরায়ু বের হয়ে এলে।
কোমরে ও সহবাসের সময় ব্যথা হলে।
প্রস্রাব ঘন ঘন হওয়া বা প্রস্রাব অসম্পূর্ণ হওয়ার মতো অনুভূতি হলে।
কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা সম্পূর্ণ হয়নি বলে অনুভূত হলে।
সাদা স্রাব বা লালচে স্রাব হলে।
প্রতিরোধে সতর্কতা
সন্তান প্রসবের সময় পাশে অভিজ্ঞ ধাত্রী থাকা বা হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
প্রসব-পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সাধারণভাবে বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের পর ছয় মাসের মধ্যে কোনো ভারী কাজ করা চলবে না।
প্রসব-পরবর্তী যথাসম্ভব দ্রুত স্বাভাবিক হাঁটাচলা শুরু করা উচিত।
জরায়ুর আশপাশের মাংসপেশিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে। এগুলো নিয়মিত করা উচিত।
দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ এবং স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending