মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের সহজ ব্যাখ্যা হলো যখন যা কাজ তাতে ডুবে যাওয়া। যেমন খাওয়ার সময় কোন পাত্রে কী খাবার দেওয়া হলো, সেটার রং কী, গন্ধ কেমন এসব খুঁটিয়ে দেখা। খাবার মুখে যাওয়ার পর চিবানো থেকে স্বাদ গ্রহণ করা পর্যন্ত সবই এমন সচেতনভাবে করা হলো মাইন্ডফুলনেস।
নিউরোইমেজিং গবেষণাগুলোয় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মস্তিষ্কের গঠনগত এবং কার্যকরী পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এতে আমাদের মনোযোগের ক্ষমতা বাড়ে। মানসিক নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মসচেতনতাও বাড়ে।
অগ্রবর্তী সিঙ্গুলেট কর্টেক্স এবং হিপ্পোক্যাম্পাস জড়িত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে—
কগনিটিভ ফাংশন: মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন কগনিটিভ ফাংশন যেমন স্মৃতি এবং অন্যান্য মানসিক দক্ষতার উন্নতি করে।
ব্যথা নিরাময়: মাইন্ডফুলনেসভিত্তিক স্ট্রেস রিডাকশন (এমবিএসআর) এবং মাইন্ডফুলনেসভিত্তিক জ্ঞানীয় থেরাপি দীর্ঘস্থায়ী অনেক ব্যথার পরিবর্তন আনে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম তথা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘুমের উন্নতি: মন ভালো তো, ঘুমও হবে ভালো। গভীর মনোযোগে সারা দিন নানা কাজ থাকলে মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে গোছানোর জন্য আপনাকে এনে দেবে গভীর ঘুম।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ: মাইন্ডফুলনেস ব্যক্তিদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ কমায়। এতে একের সঙ্গে অন্যের সম্পর্ক ভালো থাকে।
কর্মক্ষেত্রের সুস্থতা: কর্মক্ষেত্রে মাইন্ডফুলনেস প্রোগ্রাম কর্মীদের সুস্থ রাখে, কাজের সন্তুষ্টি বাড়ায় এবং সহজে কর্মীদের বার্নআউট তথা ক্লান্ত করে না। মাইন্ডফুলনেসের চর্চা তাই সাংগঠনিক মনোবিজ্ঞান এবং মানবসম্পদ বিভাগে ইদানীং শুরু হয়েছে।
শরীরের ওপর প্রভাব: মাইন্ডফুলনেস ধ্যান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি বিপাকীয় স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্যও একটি চমৎকার প্রতিকার।