সুস্বাস্থ্য
রোগ সারাবে ডিজিস মোডিফায়িং এক্সারসাইজ
Published
4 months agoon
ধরুন একজন রোগী রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত, যা অস্থিসন্ধিতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথার জন্য দায়ী। এর চিকিৎসা দুই ধরনের। ব্যথা সারাতে দেওয়া হয় ব্যথানাশক ওষুধ, যা মূলত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ভালো করে না। এটি শুধু সাময়িক ব্যথা কমাতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন হয় ডিজিস মোডিফাইং ড্রাগ, যেমন স্যালাজিন।
কোমর বা ঘাড় ব্যথাও আলাদা কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ মাত্র। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো শুধু ব্যথার ওষুধ সেবন করে বা কিছু ব্যায়াম করে কিছু সময়ের জন্য হয়তো ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কিন্তু কারণ নির্মূলে অবশ্যই রোগ সারানোর চিকিৎসা বা ডিজিস মোডিফাইং ট্রিটমেন্ট করাতে হবে।
প্রত্যেক মানুষের শরীর একেক অবস্থায় একেক আচরণ করে এবং ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসার প্রতি সংবেদনশীল থাকে। সারা বিশ্বে তাই পারসোনালাইজড চিকিৎসার গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
রোগ সারানোর চিকিৎসা
শারীরিক ব্যথার কারণগুলো সুনির্দিষ্ট নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো মোডিফাই করার জন্য কোনো ওষুধ নেই। ব্যথার কারণ নির্মূলে তাই নির্ভর করতে হয় সুনির্দিষ্ট ব্যায়ামের ওপর।
অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে—ব্যায়াম তো ব্যায়ামই, এর আবার প্রকারভেদ কী! নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে যেমন নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়, তেমনি ব্যথার সঠিক কারণ বের করে সেই অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হয়। যেমন কোমর ব্যথার কারণ হলো স্পন্ডাইলোলিসথেসিস বা হাড় সরে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে যদি আপনি ব্যাক এক্সটেনশন এক্সারসাইজ করেন তাহলে তা হিতে বিপরীত হবে। আবার দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যথা হয় মানসিক কারণেও। সে ক্ষেত্রে কোনো ব্যায়ামেই কাজ হবে না। আগে ঠিক করতে হবে মানসিক সমস্যা।
করণীয়
ব্যথা সারানোর অনেক ব্যায়াম খুব জনপ্রিয়। ইউটিউব বা ফেসবুক খুললেই নানা ধরনের ব্যায়ামের কৌশল দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এ ধরনের ব্যায়াম বেশিরভাগ সময়ই বিপদ ডেকে আনে। ইউটিউব দেখে ব্যায়াম করে কোমরে, ঘাড়ে বা হাঁটুর ইনজুরিতে পড়া রোগীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন রোগীও কিন্তু বাড়ছে। একটা ব্যায়াম কত ভিউ পেল সেটা দেখেই অনেক রোগী মনে করেন তার সমস্যা সমাধানেও এটি কাজ করবে। এটি বিপজ্জনক ভুল ধারণা।
প্রত্যেক মানুষের শরীর একেক অবস্থায় একেক আচরণ করে এবং ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসার প্রতি সংবেদনশীল থাকে। সারা বিশ্বে তাই পারসোনালাইজড চিকিৎসার গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। পারসোনালাইজ চিকিৎসার মূলমন্ত্র হলো রোগীর নিজস্ব অবস্থা বুঝে চিকিৎসা। এ চিকিৎসা রোগীর চাহিদা অনুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করে এবং এর ফলাফল ভালো।