Connect with us

তথ্য ও প্রযুক্তি

দেশে টাকা পাঠাতে ভোগান্তি সপ্তাহজুড়ে

Published

on

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে কারফিউ চলমান থাকায় বিপাকে পড়েছেন লাখো প্রবাসী বাংলাদেশী। গেল ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবারের পর থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ থাকায় ব্যাংকের পাশাপাশি বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম অনেকটা থমকে ছিল। আর এ কারণে পরিবার পরিজনের কাছে অর্থ পাঠাতে পারেননি প্রবাসীরা।
গত ২১ জুলাই রোববার থেকে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিউইর্য়কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা , ব্রুকলিন , ওজন পার্কের মতো এলাকার মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় প্রবাসী গ্রাহকদের ভীড় । তারা জানান , ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় এক্সচেঞ্জ হাউজ অর্থ পাঠাতে পারছে না। আর যারা্ও বা পাঠাচ্ছেন সেটি কবে উত্তোলন করতে পারবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাও অনিশ্চত । জ্যামাইকার হিল সাইড ২০২ এভিনিউতে গ্রাম বাংলা গ্রোসারিতে এসেছিলেন মিতুল রহমান। জানালেন, ঢাকার কারওয়ান বাজারের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শাখায় তার পরিবারের জন্য ৩শ ডলার রেমিটেন্স

পাঠিয়েছেন তিনি রিয়া মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে কিন্তু সে অর্থ এখনও তার পরিবার উত্তোলন করতে পারেনি।

অন্যদিকে , বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আরেকটি মোবাইল ভিত্তিক অ্যাপস ট্যাপট্যাপের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত তা পাঠানো যায়নি।

মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, কার্যকর রেমিট্যান্স সেবার জন্য ব্যাংকের পাশাপাশি ইন্টারনেট-সেবা প্রয়োজন। এ দুটি সক্রিয় হলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা, পাঠানো যাবে রেমিট্যান্সও ।

এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিউইয়র্ক সময়কে বলেন, ‘ ঢাকায় প্রায় সপ্তাহ জুড়ে পুরো ব্যাংকিং সময়ের অর্ধেক লেনদেন সময় নির্ধারণ ছিল । প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংক ব্যবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে প্রবাসীরা কিভাবে দেশে টাকা পাঠাবেন । এ এমন এক সময়ে আন্দোলন যখন রিজার্ভ সংকট । তবে শিগগিরি প্রবাসীরা আবারো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

এদিকে, চলমান কোটা আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থী নিহতের জেরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশে টাকা না পাঠাতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন প্রচারণা জোরেসোরে চালানো হলে বৈধপথে বিপুল অংকের ডলার হারাবে দেশ পাশাপাশি বাড়বে হুন্ডির জনপ্রিয়তা।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending