ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর কন্টাক্ট ব্লক ও রিপোর্ট করার সুযোগ দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ছবি: ডিজিটাল ট্রেন্ডসচলতি বছরের মে মাসে ভারতে ৬৬ লাখ ২০ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে মেটার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে কোনো রিপোর্ট ছাড়াই প্রায় ১২ লাখ ৫৫ হাজার অ্যাকাউন্ট সক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ করেছে কোম্পানিটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ভারতে আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ অনুযায়ী, প্রতি মাসে একটি স্বচ্ছতার প্রতিবেদন জমা দিতে হয় হোয়াটসঅ্যাপকে। নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে ১৩ হাজার ৩৬৭টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল।
হোয়াটসঅ্যাপ দেশটির অভিযোগ আপিল কমিটির কাছ থেকে ১১টি আদেশ পেয়েছে। সেই আদেশ গুলোও মেনে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে ও এই প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা আদান-প্রদান কমানোই কোম্পানিটির মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটি আরও বলে, ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর কন্টাক্ট ব্লক ও রিপোর্ট করার সুযোগ দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। সেই সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধাও রয়েছে। ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়ার ওপর গভীর মনোযোগ দেয় প্ল্যাটফর্মটি। ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ, সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে ও নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে হোয়াটসঅ্যাপ।
এক ঘোষণায় মেটা জানায়, গত মে মাসে ভারতে ১৩টি নীতির অধীনে ফেসবুকের ১ কোটি ৫৬ লাখ কনটেন্ট ও ১২টি নীতির অধীনে ইনস্টাগ্রামের ৫৮ লাখ কনটেন্ট সরিয়ে ফেলেছে এই টেক জায়ান্ট।
এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগে লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। গত জানুয়ারিতে ৬৭ লাখ ২৮ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ৭৬ লাখ ২৮ হাজার, মার্চ মাসে ৮০ লাখ ও এপ্রিলে ৭১ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়।
হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ভারত। দেশটিতে ৫৫ কোটির বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন।