রাত পার হচ্ছে স্থবির আমাকে রেখে
দূরে কোথাও ভ্রমণে গিয়ে আমার মন
আটকে পড়েছে কোনো গভীর খাঁদে;
যেভাবে ভয়েজার আমাদের সৌরমণ্ডল
ছেড়ে নিয়ন্ত্রণহীন চলেছে অন্য কোনো
সৌরমণ্ডলের দিকে—আমি যতই ডাকি না কেন
সাড়াশব্দ পাচ্ছি না কোনোভাবে।
যেসব কাজগুলো চিন্তায় সাধিত হয়ে আছে
মনেরই তো করণকৌশল সেসব প্রতিভাত হবে
বস্তুজগতের পরিধিতে, কিন্তু কীভাবে যদি
মন-ভয়েজার উদ্দেশ্যবিহীন দূরে চলে যেতে থাকে?
শৈশবে একবার নদীপথে উদাসী বাতাস
নিয়েছিল কেড়ে মন, ফিরে পেতে পেতে
আলোকবর্ষ কেটে গেল, কৈশোর গড়িয়ে এলো
জটাচুল কানের দু’পাশ ঢেকে—বটের ঝুরিগুলো যেভাবে
কাণ্ডের থেকে মূলের অভিপ্রায়ে ঢোকে মাটির ভিতর—
অংকের খাতায় স্বপ্নখেকো শব্দগুলো প্রোথিত হতে থাকে
কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে ওঠার অস্বস্তিতে কাতর বয়ঃসন্ধিকাল।
উড়ে চলেছে আবারও মন-ভয়েজার
যতভাবেই ডাকছি তাকে, পারছি না ফেরাতে দেহের মাঝে
ক্ষুদ্র দেহ কেমন করে ধরবে অসীম মন?
বয়স পেরিয়ে চুলে যখন লাগল রুপালি রঙ!