যখন উন্মাদ সময়ের কাছে তুমি
নতজানু, হাঁটু গেড়ে খাও
খুদকুটো, ধান, বীজ, সব
যেন খুঁটে খুঁটে খাও তোমার শরীর।
শরীরের ভেতর জেগেছে
জন্মান্ধের ক্রোধ, দাহ—
আমি তার হাতের মুঠোয়
একফালি নরম মাখন যেন
মৌতাত ফুলের উৎসব শেষের বেলা।
সেখানে জন্মায় হলুদ পাতার গান
কিংবা ধরো বিমর্ষ আকাঙ্ক্ষা!
কল্পতরু নামে যে গাছটি
ফুলেফেঁপে ভরেছিল সেটি
চুপচাপ জলের তলায় ঘুম।
নিদ্রাহীন কালোরাত শেষে
ভোরের আলোয় জেগে ওঠা
শহরের বিষণ্ন বাতাসে
তখনো রয়েছে তাপ
যেন অন্ধ করে দেবে কালাকাল!
আজ যে পথে তোমার যাত্রা
সেখানে কোন পিলগ্রিমেজ রয়েছে—
হাজার হাজার পথের ক্লান্তির শেষে
তুমি এক পরিব্রাজক যে
যিশুর ক্রসের পাশে
নবীর নামের শেষে দরুদের দোয়া।
বুদ্ধের অহিংস বাণী।
জরাথুস্ত্রে আমি পাখির ঠোঁটের কোণে
বিদ্ধ রক্তমাংস, হাড়টুকু পড়ে আছে
উঁচু উঁচু নিস্তব্ধ মিনারে।
হয়তো সেখানে আছে কোন
ধবল জ্যোৎস্নার রাত,
তার গাঢ় কান্নাধ্বনি
মর্মর বাতাসে হিল্লোলিত
আকাশের দিকে কারো চোখদুটো
তখনো রয়েছে জেগে।