Connect with us

কবিতা

ওল্ড সিমেট্রি, দার্জিলিং

Published

on

কবিতা

ওই আঠারশো সাতষট্রি, দুটি কাচের মতো ডানা মেলে তিরতিরে হাওয়ায় মাথা
দুলিয়েছো আশ্বিন, নির্মম মাস আমার- ধুনকির হুঁশ নেই, এমন রোদ ঝিমিয়ে নামছে
কর্কশ ঘাস গুচ্ছের কষায় গন্ধে- দু-চারটে পিঁপড়ে ঘাসফড়িং ঠেলে বুকে ভরে উঠিয়ে
নিচ্ছো শ্বাস, সবে দু-দিনের জীবন বই তো নয়!
পাথর ফাটিয়ে তোমার ফ্যাকাশে গোলাপ ত্বক হাসছে, যেভাবে একদিন বছর বাইশ,
রোজলিন লয়েড, এই ফাটলের তলায় চলে গেছিলে ছুরির বিনম্র আঘাতে-

ঘুমোতে এসেছে এখানে চাঁদের আলো, নির্লজ্জ, ঘাড়ত্যাড়া- নির্ঘুম পরীরা সব উঠে
বসেছে, স্টিলেটো আর ভিক্টোরিয়ান ঘাঘরা ছাড়িয়ে কচি পায়ের গোছে শ্বেতী হয়েছে
ভেবে চোখ বুজে ফেলছে ঘোড়াওয়ালা- হুকোবরদার-
পরোয়া নেই ওদের- কান্ট্রি চিজের মতো তুলতুলে জঙ্ঘা ঝলসে যাচ্ছে হাসির
হুল্লোড়ে- ভার্জিন কুইন মেরি- বেলের আওয়াজ অস্পষ্ট থেকে ক্রমে ঘোড়ার খুরের
মতো দৃঢ় হয়ে উঠেছে-

থোকা থোকা ফুল পড়েছিল, তাদের প্র-মাতামহীদের মতো পুষ্ট, শীতে উষ্ণ
ফুলের গুচ্ছের ওপর পায়ের ছায়া ফেলে যাচ্ছিল এমন সন্তর্পণে, মনে হল, নিশ্বাস
ছাড়ছে যেন মৃত ফুল,
চেককাটা স্কার্ট আর হাইল্যান্ডার, বিউগলের একঘেয়ে সুরে মুড়ে রাখছিল মেঘের
কম্বলে মোড়া নেটিভ কুইন-
রেল লাইন আর ম্যালরিয়ার পেটে যাওয়া ভাগ্যান্বেষীর ভীড়ে মার্বেল স্ল্যাবের যোগান
দেখতে দেখতে ডুলি নামছিল কৌতূহলী দেশী রমণীদের-
পিছনে পিছনে বাবু বাঙালি

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending