টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হৃতগৌরব ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। ওয়ানডে ক্রিকেটেও তাদের দিন ফুরিয়েছে। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফেভারিট মনে হয়। যদিও তারা গত বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক ক্যারিবিয়ানরা। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ম্যাচ হওয়ার পর বিশ্বকাপ ফিরবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ঘরের মাঠের চেনা দর্শকের সামনে রভম্যান পাওয়েলরা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারলে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাদের হাতে উঠতেও পারে।
২০১২ ও ২০১৬ সালে যার অধিনায়কত্বে প্রথম দল হিসেবে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই ড্যারেন স্যামি এখন প্রধান কোচ। নিকোলাস পুরানকে সরিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলকে। দলে ফিরেছেন আন্দ্রে রাসেল। আছেন শিমরন হেটমায়ারও। নতুন তারকা হিসেবে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন শামার জোসেফ। গ্রুপ পর্বে ক্যারিবিয়ানদের চার ম্যাচ তিনটি ভেন্যুতে। দুটি ম্যাচ পড়েছে গায়ানায়, একটি করে ত্রিনিদাদ ও সেন্ট লুসিয়ায়। গায়ানার পিচ সাধারণত মন্থর হয়। ত্রিনিদাদেও স্পিন ভালোই ধরে। সেসব বিবেচনায় নিয়ে আকিল হোসেন, গুডাকেশ মোতির সঙ্গে দলে বাড়তি স্পিনার হিসেবে রোস্টন চেজকে রাখা হয়েছে। চেজ অফস্পিনের পাশাপাশি ব্যাট হাতে মিডল অর্ডারে হাল ধরতে পারেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পাওয়ারপ্লে খেলতে ব্র্যান্ডন কিং-চার্লসরা আছেন। মিডল অর্ডারে পুরান ও পাওয়েল আর শেষ দিকে ঝড় তুলবেন রাসেল-হেটমায়ার-জেসন হোল্ডার-রোমারিও শেফার্ডরা। গ্রুপের শক্তিশালী দুই দল নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের একঝাঁক হার্ডহিটারের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে তাদের বোলাররা। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন রাসেল, পুরান, পাওয়েল, হোল্ডাররা। এবার তাদের সামনে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সোনালি দিন ফেরানোর চ্যালেঞ্জ। এবার ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানদের ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন হেটমায়ার। বোর্ড পরিচালক ডেসমন্ড হেইন্স বলেন, ‘ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। কাইল মায়ার্স ও শিমরন হেটমায়ারের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা খুব কঠিন ছিল।’