Connect with us

খেলার খবর

নিউ ইয়র্কে স্টেডিয়াম থেকে বের হয়েই সাকিবকে প্রবাসীদের গা লা গা ল

Published

on

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ একাদশ দলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ১০ জুন সোমবার খেলা শেষে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বের হতে না হতেই প্রবাসীরা গালাগাল দিতে শুরু করেন সাকিব আল হাসানকে। দক্ষিণ আফ্রিকার আছে বাংলাদেশের হেরে যাওয়ার জন্য সাকিব আল হাসানকেই দোষারোপ করছেন প্রবাসীরা।

নিউ ইয়র্কের একাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি খেলা শেষে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, গত ৭ জুন শুক্রবার ডালাসে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচেও সাকিব আল হাসান ছিল অমনোযোগী ও উদাসীন। খেলায় যেন তার মন বসছিলো না। কারণ পরদিন ৮ জুন শনিবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সেরর সেন্ট জোনস বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল তার কথিত ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানকে সার্থক করার জন্য সে খেলাতে মন বসাতেই পারছেন না।

১০ জুন সোমবার নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। মহারাজের নো বলে সজোরে হাঁকান মাহমুদউল্লাহ। বল উঠে যায় উপরে, বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মার্করামের হাতে। মাহমুদউল্লাহ মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। শেষ বলে প্রয়োজন ৬, তাসকিন ১ রানের বেশি করতে পারেননি। এর আগে একই ওভারে মারতে গিয়ে আউট হন জাকের আলী।

৫ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় সাকিব আল হাসানকে। পেসার নরকিয়ের শর্ট বল উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেট। এক ওভার পর শান্তও তার পথ অনুসরণ করেন। সাকিব করেন ৩, শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশ প্রতিরোধ পায় তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ সহজে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। সব মিলিয়ে ভালো খেলেননি সাকিব আল হাসান। মাত্র ৫ রানে নিয়ে সাকিবের আউট হয়ে যাওয়াটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না প্রবাসীরা।

শনিবার (৭ জুন) রাতে সেন্ট জোনস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবাসের মানব পাচারকারী, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের একত্রে জড়ো করে তার ক্যান্সার হাসপাতালে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান করার ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন সাকিব।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রবাসী ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, লেটস গো ফর অ্যানাদার ফান্ডরাইজিং।

প্রবাসী শাখাওয়াত বিশ্বাস বলেন, চোর বাটপার অর্থলোভী সাকিব দেশকে ভালোবাসে না, সে ভালোবাসে টাকা। তিনি সাকিবকে স্টুপিট উল্লেখ করে বলেন সে যুক্তরাষ্ট্রে এসে খেলার অনুশীলন না করে সমাজের অসৎ মানুষদের নিয়ে ক্যান্সার হাসপাতালে তহবিল সংগ্রহের নামে কৌশলে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন তা সকলেই জানেন।

জানা যায়, নিউ ইয়র্কে আসার পর বার্বিকিউ পার্টি, পিকনিক আর তহবিল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সাকিব-শান্তরা। অনুশীলন কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা নিয়ে কোন ভাবনাই ছিল নেই তাদের। দেশ থেকে আসা টাইগারদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বনভোজন আর নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি তথাকথিত কমিউনিটি নেতাদের মুরগির ঝলসানো মাংস (বার্বিকিউ) খাওয়াতেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সাকিব আল হাসান ও শান্তর দল। প্রবাসীদের কাছ থেকে তিনি তার ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার লক্ষ্যে গত রবিবার (২ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির নিজ বাড়িতে প্রবাসী বাংলাদেশি তথাকথিত কমিউনিটি নেতাদের মুরগির ঝলসানো মাংস (বারবাকিউ) খাওয়ানোর আয়োজন করেন। এ নিয়েও বেশ সমালোচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending