Connect with us

খেলার খবর

বাংলাদেশী সমর্থকেরা ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাকিবের উপর

Published

on

বাংলাদেশী সমর্থকেরা ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাকিবের উপর

দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের হার

সেদিন গল্পটার শেষটা ছিলো মন খারাপের, গল্পটা ক্ষোভের, গল্পটা হতাশার।বিশ্বকাপে সেদিন বাংলাদেশ এবং সাউথ আফ্রিকার খেলায় মাঠ ভর্তি হাজার হাজার বাংলাদেশী সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশ জিতবে।সেই প্রত্যাশায়, সেই উন্মাদনায় আশায় বুক বেধে নিউইয়র্ক সহ হাজার হাজার মাইল দুর থকেও উত্তর আমেরিকার বিঙিন্ন স্টেট থেকে বাংলাদেশীরা সেদিন জড়ো হয়েছিলেন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৩৪ হাজার আসন বিশিষ্ট নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ৯৫ ভাগ দর্শক ছিলো সেদিন বাংলাদেশের

সমর্থক।স্টেডিয়ামের গ্যালারী সেদিন বাংলাদেশী সমর্থকদের দখলে থাকলেও মাঠের দখল রাখতে পারেননি টিম বাংলাদেশ।সেদিন খেলায় হারের ক্ষোভের পাশাপাশি মাঠ থেকে বেড়িয়ে আসা বাংলাদেশী সমর্থকেরা ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাকিব আল হাসানের উপর।খেলায় মনোযোগ না দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মূহুর্তে খোলায়ারদের নিয়ে তার নতুন কেনা লং আইল্যান্ডের বাসায় বার্বিকিউ পার্টি করা এবং দক্ষিন আফ্রিকার সাথে ম্যাচের আগের দিন তার ক্যানসার হসপিটালের জন্য ফান্ড রেইজিং ডিনার আয়োজনে ব্যাস্ত থাকায় সাকিব আল হাসান সেদিনের খেলায় আদৌ মনোযোগী ছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

সেদিন প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশ জিতবে, শুরুটা তেমনটাই ছিলো, কিন্তু তারপরের গল্পটা ধীরে ধীরে হয়ে যায় মন খারাপের।একটা সময় কেমন যেনো মনে হতে লাগলো বাংলাদেশের খেলোয়ারদের মধ্যে কেমন যেনো উদাসীনতা, ভাবখানা এমন যে জিতলে জিতলাম, না জিতলে হু কেয়ারস। মানছি যে, কেউই হারের জন্য খেলেনা, সবাই জিতবার জন্যই খেলে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও তবে জিতবার জন্য একটা যে এটিচ্যুড থাকে খেলোয়াড়ের মাঝে, সেই অদম্য এটিচ্যুড কি বাংলাদেশের টিমের মধ্যে আমরা সেদিন দেখেছি ? বোধকরি সবাই একবাক্যেই বলবে, না।এছাড়াও সেদিন যোগ হয়েছিলো আম্পায়ার এর কিছু হঠকারী সিদ্ধান্ত।রিয়াদকে ভুল সিন্ধান্তে আউট করবার পায়তারা ছিলো যেনো তার, তারপর যদিও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে।যারা খেলা দেখেছেন তারা জানেন যে সেই একই বলটি মাঠের বাইরে চলে যাবার যে লেগ বাই ৪ রান, তা যোগ করা যায়নি স্কোর বোর্ডে, কারন বলটিকে আম্পায়ার ইতিমধ্যে ডেড ঘোষণা করায় আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী রান যোগ হয়নি স্কোর বোর্ডে।আইসিসির এ এক আজব নিয়ম।

যাই হোক, আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকি, তারা মাঠে গিয়ে এমন উৎসাহে দেশের দলের খেলা উপভোগ করতে পারিনা একদমই, সেদিন সেই সুযোগটা ছিলো আমাদের, আমরা সেদিন হেরেছি ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশ বাংলাদেশ চীৎকারে সমস্বরে জোট বেধে গলা ফাটিয়ে দেশের দলকে সাপোর্ট করে পুরোটা সময় উপভোগ করেছি সবাই মিলে।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending