সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর ডাচ কোচ কোমান
ডর্টমুন্ডে ইউরোর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেদারল্যান্ডস কোচ রোনাল্ড কোমান। তাঁর দাবি, ইংল্যান্ডে খেলা হলে এটা কোনোভাবেই পেনাল্টি হতো না।
শুধু তা–ই নয়, ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন কোমান। ভিএআরের মাধ্যমে এমন সব সিদ্ধান্তের কারণে ফুটবল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন এই ডাচ কোচ।
নেদারল্যান্ডসকে ২–১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ৭ মিনিটে জাভি সিমন্সের গোলে ডাচরা এগিয়ে গেলেও ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেইনের গোলে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। এরপর ৯০ মিনিটে ওলি ওয়াটকিন্সের গোলে ফাইনালের টিকিট পায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। কোমান প্রশ্ন তুলেছেন ইংল্যান্ডের পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের বক্সে লাফিয়ে ওঠা বলে শট নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেইন। বল পোস্টে রাখতে পারেননি তিনি। তবে শটটি নেওয়ার পর ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডামফ্রিসের বাধার শিকার হন কেইন। শটটি নেওয়ার পরপরই ডামফ্রিসের পা লেগেছে কেইনের পায়ে। রেফারি ফেলিক্স সভায়ের গোল কিকের বাঁশি বাজান। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পর ঘটনাটি ভিএআর বিশ্লেষণের মাধ্যমে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
তবে ধারাভাষ্যকারেরা বলেছেন, পেনাল্টি না–ও দেওয়া যেত। আর কোমান নিজেও খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন অসাধারণ ডিফেন্ডার। রুদ খুলিত–মার্কো ফন বাস্তেন–ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডদের সঙ্গে জিতেছেন ১৯৮৮ ইউরো। সাবেক ডিফেন্ডার হওয়ায় ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না কোমান।
হারের পর সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন কোমান, ‘এটা পেনাল্টি না। সে (ডামফ্রিস) শুধু শটটাই আটকাতে চেয়েছিল। হ্যারি কেইন শট নিয়েছে এবং তাদের পায়ে পায়ে সংঘর্ষ হয়েছে। ভিএআর এমন সব সিদ্ধান্ত দেওয়ায় ফুটবল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডে এই পেনাল্টি দেওয়া হতো না। ডিফেন্ডার হিসেবে তখন আর কী করা যেত? রেফারি অনেক হালকা ব্যাপারে বাঁশি বাজালেও আমরা কিন্তু সে কারণে হারিনি।’
নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক মনে করেন, এই পেনাল্টিই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছে, ‘পেনাল্টির মুহূর্তটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। অনেক সিদ্ধান্তই আমাদের পক্ষে যায়নি। কিন্তু রেফারি নিয়ে কথা বলতে চাই না।’