খেলার খবর
মেসি সাজাচ্ছেন ডি মারিয়ার শেষের মঞ্চ
Published
3 months agoon
দু’জনের পথচলা একটা রাস্তা ধরে। দু’জনের ভালো লাগা আর ভালোবাসার গল্পও অনেকটা এক রকম। মাঠের সহযোদ্ধা আর জীবনপথের দারুণ বন্ধু তারা। হ্যাঁ, বলছি লিওনেল মেসি এবং ডি মারিয়ার কথা।
বুধবার কোপা আমেরিকার সেমিতে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। যে ম্যাচে গোল করেন মেসি ও হুলিয়ান আলভারেজ। এর পরই ভিন্ন এক আবহ। চোখের জলে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় ডি মারিয়াকে। এর পর মেসি শোনান আবেগি কিছু কথা। যে কথামালায় ফুটে ওঠে ডি মারিয়ার জন্য শেষের মঞ্চ সাজানোর প্রস্তুতি।
ডি মারিয়া আগেই নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বাঁশিটা শুনিয়েছিলেন। এটা যে তাঁর শেষ। সেটা আর নতুন করে না বললেও হতো। কিন্তু আবেগি বন্ধু আর এই দলটার লড়াই দেখে মেসি নিজেও গর্বিত। সেজন্যই জানিয়ে দেন ডি মারিয়া-নিকোলাস ওতামেন্ডিদের এটা শেষের যুদ্ধ। তাই তো সোমবারের ফাইনালটা রাঙিয়ে সেই শেষের যুদ্ধে জিততে মরিয়া মেসিও, ‘জাতীয় দলের হয়ে আমরা যা কিছু পেলাম, এসব সত্যিই উপভোগ করার মতো। আবারও ফাইনালে যাওয়াটা মোটেও সহজ ছিল না। আমার মনে হয়, আরও একবার আমরা লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। দেরিতে হলেও আমি সবকিছু পেয়েছি। সময়টাও দারুণভাবে উপভোগ করছি। হ্যাঁ, এটা ডি মারিয়া, ওতামেন্ডির শেষের যুদ্ধ।’
মেসির এমন কথায় হয়তো অনেকের মনে হবে, তিনিও শেষ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি তো মেসি আর ডি মারিয়াকে আরও অনেক দিন রাখতে চান। তাদের ওপর এখনও কোচের অগাধ আস্থা। কিন্তু মেসি কবে ছাড়ছেন, সেটা নিশ্চিত না হলেও এটাই যে ডি মারিয়ার শেষ, সেটা নিশ্চিত। তাই তাঁর জন্য হলেও সবাই আরও একবার সেরাটা দিয়ে লড়তে প্রস্তুত। মেসির কথায় তেমন গন্ধও মিলছে।
যদিও আর্জেন্টিনার শোকেসে কোপার ট্রফি কম নেই। কানাডাকে হারিয়ে ৩০তম বারের মতো কোপার ফাইনালে উঠেছে তারা। যার মধ্যে ১৫ বারই হয় চ্যাম্পিয়ন। বৃহস্পতিবার ভোরে দ্বিতীয় সেমিতে কলম্বিয়া খেলবে উরুগুয়ের বিপক্ষে। যে ম্যাচের জয়ী দল সোমবারের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে মোকাবিলা করবে। তাছাড়া এবার কোপা আমেরিকায় এখন পর্যন্ত খুব একটা ধাক্কা খেতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে।
গ্রুপসেরা হয়েই তারা নকআউটে নাম লেখায়। অবশ্য কোয়ার্টারে ইকুয়েডরের সঙ্গে দারুণ একটা পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাদের। যেখানে টাইব্রেকারের পাহাড় ডিঙিয়ে সেমি নিশ্চিত করতে হয়েছিল লিওনেল স্কালোনির দলকে। সেই টাইব্রেকারে আবার দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমি মার্টিনেজ। কোয়ার্টারের তুলনায় সেমির বাধাটা সহজই ছিল। কানাডাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়ায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই জয় তুলে নেয় দলটি। এবার ১৬ নম্বর শিরোপা জেতার পালা। হ্যাঁ, আর্জেন্টিনার কোপার শিরোপা নম্বর ১৬ হলেও দেশের জার্সিতে মেসি ও ডি মারিয়ার জন্য এটা হবে চতুর্থ ট্রফি।