টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। র্যাংকিংয়ের দিকে তাকালে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ‘প্রশ্নই’ থেকে গেল। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দেশের মাটিতে খেলা পাঁচ ম্যাচের সিরিজেই কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচের পর যুক্তরাষ্ট্রে বিপক্ষে সিরিজ হার! বিশ্বকাপের দরজায় দাঁড়িয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চ্যালেঞ্জটা অবশ্য আগেও ছিল। সে ২০০৭ সাল থেকেই টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিয়মিত দল বাংলাদেশ। বড় কোনো অর্জন না থাকলেও ছোট ছোট কিছু অর্জনেই সীমাবদ্ধ ছিল এ দলটি। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন অনেকেই। সে হিসেবে দলীয় সাফল্য নেই বললেই চলে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে ১৭ বছর পার করেছে বাংলাদেশ। এত বছর পেরিয়েও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় সাফল্য বলতেই মুখে আসে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপের মূল পর্ব। সেবার জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। এবার বিশ্বকাপটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সঙ্গে বেড়েছে দলের সংখ্যাও। ২০ দলের এই টুর্নামেন্ট নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বপ্নটা এখন ঠিক কোথায়—সেটাও একটা অনিশ্চয়তার বিষয়। কেননা, ক্রিকেটারদের ছন্দহীনতা স্বাভাবিকভাবেই দলকে নেতিবাচক দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এক বছর আগেও টি-টোয়েন্টি নিয়ে বড় আশা করেছিলেন বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা। বিশেষ করে দল ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জেতায় সেটা আরও পোক্ত করেছে। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকেই ছন্দ হারিয়ে বসেছেন লিটন দাস, শান্ত, সাকিবরা। টপ অর্ডার নিয়ে তাই আছে দুশ্চিন্তা। টুর্নামেন্টের দল ঘোষণার আগেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি মিলেছে। মাত্র এক সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। সৌম্য সরকারও অনেকটা একইভাবে দলে ফিরেছেন। শুধু তা-ই নয়, বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদের চোটে পড়া বাংলাদেশের জন্য বড় অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ মিলেছে তানজিম হাসান সাকিবের। সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের দলের অভিজ্ঞতার জায়গাটাও কিছুটা দুর্বলভাবেই ফুটে উঠেছে।