যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধন শনিবার। টেক্সাসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাগতিকরা মুখোমুখি হবে কানাডার। কিন্তু ১১ ঘণ্টা এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশে এই ম্যাচটি শুরু হবে ২ জুন রোববার ভোর সাড়ে ৬টায়।
ক্রিকেটের কোন বৈশ্বিক আসর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। সেখানকার টাইম জোনের সাথে এই উপমহাদেশের টাইম জোনের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের যেদিন বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে বাংলাদেশে সেটা হয়ে যাচ্ছে পরদিন।
এদিকে বিবিসি জানায়, বিশ্বকাপ চলবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ওয়েস্ট ইন্ডিজেও। ফলে দেখা যাবে কোনো ম্যাচ বাংলাদেশ সময় রাত এমনকি মধ্যরাতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমে গ্রুপপর্বের খেলা যা চলবে ১৮ই জুন পর্যন্ত, এসময় প্রতিদিন অন্তত একটি ও কখনো কখনো দুই বা তিনটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ম্যাচগুলো সাধারণত শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টা, সাড়ে ৬টা, রাত সাড়ে ৮টা, সাড়ে ৯টা, রাত ১১টা ও রাত ১টা থেকে। আলাদা টাইম জোন বলে কথা।
এরপর সুপার এইট পর্ব, যা চলবে ২৫শে জুন পর্যন্ত। এসময়ও বেশিরভাগ দিন দুটি করে ম্যাচ, তবে খেলার সময়সূচি ভোর সাড়ে ৬টা আর রাত সাড়ে ৮টাতেই নির্দিষ্ট থাকবে। দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে একই দিন ২৭শে জুন। আর ফাইনাল হবে শনিবার, ২৯শে জুন বার্বাডোজে সকাল সাড়ে ১০টায়, যা বাংলাদেশ সময় আসলে রাত সাড়ে ৮টা।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক ২০টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে। একই সাথে পুরনো ফরম্যাটও ফেরত এসেছে এবার। অংশগ্রহণকারী ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে প্রথমে হবে গ্রুপপর্বের খেলা। প্রতি গ্রুপে থাকছে ৫টি করে দল।
গ্রুপপর্বে প্রত্যেক দল খেলবে ৪টি করে ম্যাচ। সেখান থেকে গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে পরের পর্ব সুপার এইটে। এই পর্ব থেকে বিশ্বকাপ পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে।
সুপার এইটেও চারটি করে দল নিয়ে দুটি আলাদা গ্রুপ করা হবে। এক্ষেত্রে আটটি দলকে (ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা) র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আগেই বাছাই করেছে আইসিসি যাতে টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা ও সূচি নির্ধারণে সুবিধা হয়।
এই দলগুলোই যদি সুপার এইটে যায় তাহলে তারা সেই বাছাইয়ের ভিত্তিতে গ্রুপ এক অথবা গ্রুপ দুইয়ে যাবে। এক্ষেত্রে গ্রুপপর্বে টেবিলের শীর্ষে থাকা অথবা দুইয়ে থাকা কোনো ভূমিকা রাখবে না।
তবে সুপার এইটে যে দুটি গ্রুপের শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে যাবে, সেখানে গ্রুপ রানারআপ মুখোমুখি হবে অন্য গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের। পুরো টুর্নামেন্টে ম্যাচ জয়ের জন্য থাকছে ২ পয়েন্ট, ফলাফল না হলে ১ পয়েন্ট আর হেরে গেলে কোনো পয়েন্ট যোগ হবে না। টি টোয়েন্টিতে ম্যাচ টাইয়ের কোনো সুযোগ নেই, এরকম হলে সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হবে ম্যাচ।
অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছে- কানাডা, ভারত আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান, স্কটল্যান্ড, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, উগান্ডা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।