নিউইয়র্ক
কঠোর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা
Published
5 months agoon
- নিবার্চনের আগে নতুন বার্তা দিতে চান বাইডেন
- বিপদের মুখে পড়বেন আশ্রয় প্রার্থীরা
জীবন-জীবিকার তাগিদে কিংবা খেয়ে পড়ে আরো একটু ভাল থাকবার আশায় পারি জমাতে চাইছেন আমেরিকায় ! বিশেষ করে যারা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন বা করতে যাচ্ছেন এবার তাদের জন্য দু:সংবাদ । আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল নিবার্চন । এই নিবার্চনের তরুন ভোটারদের ভোট পেতে এবং অভ্যন্তরণী রাজনীতিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থান আরো শক্ত করতে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন । এরই অংশ হিসাবে বেশ কিছু নীতিমালা বা কার্যক্রম সম্প্রসারণে মরিয়া হয়েয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের ক্রসিং অতিক্রম করে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার অভিবাসী প্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, যা অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমান।
পাচারকারীদের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো-টেক্সাসসহ নানা অঞ্চলে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো ছাড়্ওা আরো বেশি কাটাঁ তারের বেড়া দ্ওেয়া, প্রতিবন্ধকতা স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও কার্যত ঠেকানো যাচ্ছে না আশ্রয় প্রার্থীদের ঢল।
লাখ লাখ এসব অনুপ্রবেশকারী যুক্তরাষ্ট্রকে ফেলেছে অভিবাসন সংকটে। এমন অবস্থায় , এ সংকট মোকাবিলায় অ্যাসাইলাম প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য বেশি কিছু পরিবর্তন পরিকল্পনা করেছে বাইডেন প্রশাসন। এ পরিকল্পনার অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের স্রোত ঠেকানোর জন্য একটি নিবার্হী আদেশের কথা ভাবছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া এই আদেশ চলতি বছরের শেষ নাগাদ আসতে পারে বলেও ইংগিত দিচ্ছে প্রশাসন। এর আগেও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যদিও শেষমেষ এই পদক্ষেপগুলোর কোনটিই আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে, নয়া যে আদেশ ভাবছে বাইডেন প্রশাসন সে পরিকল্পনার বিষয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি ঘোষণা আসতে পাওে যে কোন সময়ে। নতুন পরিকল্পনার নিয়মগুলি সেই সমস্ত অভিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পন করবেন বা করেছেন নিজ উদ্যোগে। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থণা করার ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত অভিবাসীদের বহিস্কার করার ক্ষমতা অভিবাসন কর্মকর্তারা পেতে যাচ্ছেন নতুন এ নীতিতে। নতুন আইনটি হবে কয়েক বছরের দীর্ঘ আশ্রয় প্রক্রিয়ার অংশ বিশেষ। যারা সরকারী অ্যাসাইলাম অফিসারের সাক্ষাতকারের উত্তীর্ণ হবে, তাদের পরবর্তী ধাপে অভিবাসন বিচারকের সামনে হাজির হওয়ার অনুমতি মিলছে । আর যারা ব্যর্থ হবে, তাদেরকে দ্রুততার সাথে ডিপোর্ট করার চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে।
এদিকে, বাইডেন প্রশাসনের নেয়া অভিবাসন কেন্দ্রীক উদ্যোগগুলোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিবাসন পক্ষীয় আইনজীবিরা। জানা গেছে, ইমিগ্রেশন কোর্টে অভিবাসন সংক্রান্ত ৩ মিলিয়ন সমপরিমান মামলা জমে আছে , যার এরই মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ। এই নতুন পরিবর্তনগুলি ৬শ জন অভিবাসন বিচারকের কাজ কমাতে সাহায্য করবে। যদিও আরো ১শ অভিবাসন বিচারক দ্রুত নিয়োগ দেবার বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বাইডেন প্রশাসন। তবে সে প্রস্তাব এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে নিউইর্য়ক সিটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ। টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা বেশিরভাগ আশ্রয়প্রার্থীকে নিউইর্য়ক সিটিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে টেক্সাস কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে টেক্সাসের রিপাবলিকান গর্ভনর প্রেগ অ্যাবোটের সাথে নিউই্র্য়ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের মতবিরোধ দেখা দিয়েছে এরই মধ্যে।
এছাড়া সিটির এ অভিবাসন সংকট সমাধানে বাজেটে নতুন বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে সিটি গভর্নর ক্যাথি হোকুলকে ।